কোরআনের চর্চা অব্যাহত রাখা আবশ্যকশাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলতসৌদিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতরবৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল ফিতরপবিত্র কাবা শরীফ থেকে তিন কিলোমিটার দূর গেলো তারাবির নামাজের কাতার
No icon

কাজে দক্ষতা বাড়ানোর আমল

ইসলাম শুধু আল্লাহ তায়ালার ইবাদতের কথা বলেনি। ইবাদতের পাশাপাশি জীবনধারণে সব ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে। ঘরে বসে না থেকে কাজ-কর্মের নির্দেশ দিয়েছে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, নামাজ যখন সম্পন্ন হয়, তখন তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ো এবং আল্লাহর অনুগ্রহ অনুসন্ধান করো।-(সুরা জুমা : ১০)

সাহাবায়ে কেরামের জীবনী পাঠ করলেও দেখা যায় তারা আল্লাহ ও রাসুলের নির্দেশ পালনের সঙ্গে সঙ্গে জীবন-যাপনের জন্য বিভিন্ন পেশায় যুক্ত ছিলেন।

ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হজরত ওমর রা. দিন-রাত অবিচল কাজ করে যেতেন, সামান্য ঘুমাতেন। তার স্ত্রী বা পরিবারের লোকেরা তাকে জিজ্ঞাসা করল, আপনি ঘুমান না?

তিনি উত্তর দিলেন, আমি যদি রাতে (ইবাদত বাদ দিয়ে) ঘুমিয়ে থাকি তবে আমার আত্মা ধ্বংস হয়ে যাবে, আর যদি দিনে (আমার প্রজাদের খোঁজ-খবর না নিয়ে) ঘুমিয়ে থাকি তবে আমার প্রজারা ধ্বংস হয়ে যাবে।এক কথায় বলতে গেলে ইসলাম মানুষকে পরিশ্রমী হওয়ার শিক্ষা দিয়েছে, অকর্মন্য ও অলসতার কোনও স্থান নেই ইসলামে। এছাড়া স্বাভাবিক নিয়মেই মানুষ জীবন-জীবিকার জন্য বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে। কর্মক্ষেত্রে নিজেকে ফুটিয়ে তুলতে সবার চেষ্টা থাকে আরও বেশি দক্ষ হওয়ার। এ নিয়ে কতশত টিপস খোঁজেন সবাই।

কর্মদক্ষতা বাড়ানোর বিষয়ে উপমহাদেশের বিখ্যাত ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান দারুল উলুম দেওবন্দের ওয়েবসাইটে জনৈক ব্যক্তি একটি চিঠি লিখেন। চিঠিতে প্রশ্নকারী বলেন নিজের কাজ বা কর্মের মাঝে দক্ষতা বাড়ানোর জন্য কিছু দোয়া বলে দিন। যাতে করে দেমাগ খুলে যায় ও সে কাজ খুব সহজে বুঝে আসে।চিঠির উত্তরে দেওবন্দের ওয়েবসাইট থেকে বলা হয়, প্রতিদিন یَا مُغْنِیْ (ইয়া মুগনিউ) ১১০০ বার (এক হাজার ১০০ বার) পড়া যেতে পারে।এটি ছাড়াও یَا فَتَّاح (ইয়া ফাত্তাহু) এই দোয়াটি ১০১ বার পড়া যেতে পারে। এভাবে الم نشرح (সুরা আলাম নাশরাহ) ও পড়তে পারেন।

আর বিশেষ করে প্রত্যেক নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পাঠ করা অনেক বড় ফজিলতের বিষয়। এর মাধ্যমে আশা করা যায়, আল্লাহ তায়ালা কাজের দক্ষতা বাড়িয়ে দেবেন। আপনি যে কাজই করতে যাবেন, সেই কাজ সহজ করে দেবেন ইনশাআল্লাহ।নিয়মিত এসব আমল অব্যাহত রাখলে পাঠকারী খুব সহজেই কাজের ক্রিয়া ও প্রতিক্রিয়া অনুধাবন করতে পারবেন। সব কিছুই আল্লাহ তায়ালা তার অন্তরে ঢেলে দেবেন বলে আশা করা যায় ইনশাআল্লাহ। -(দেওবন্দ ফাতাওয়া, ৬০৪৯৬০)