কোরআনের চর্চা অব্যাহত রাখা আবশ্যকশাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলতসৌদিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতরবৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল ফিতরপবিত্র কাবা শরীফ থেকে তিন কিলোমিটার দূর গেলো তারাবির নামাজের কাতার
No icon

 হজের গুরুত্ব ও ফজিলত 

হজ ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটি। আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে যারা কাবা শরীফ পর্যন্ত পৌঁছার সামর্থ্য রাখেন তাদের উপর হজ ফরজ করা হয়েছে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা এ ব্যাপারে এভাবে তাগিদ দিয়ে বলেছেন:

"মানুষের মধ্যে যার সেখানে যাওয়ার সামর্থ্য আছে, আল্লাহর উদ্দেশ্যে ঐ ঘরের হজ করা তার জন্য অবশ্য কর্তব্য। এবং যে কেউ প্রত্যাখ্যান করল সে জেনে রাখুক, নিশ্চয়ই আল্লাহ বিশ্বজগতের মুখাপেক্ষী নন।" 
উপরোক্ত আয়াতে হজকে আল্লাহর অধিকার হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।
সূরা আল-হজে আল্লাহ তাআলা হজের মূলে কি এবং তা কখন শুরু হয় তা স্পষ্ট বর্ণনা করেছেন:

"এবং মানুষের কাছে হজের ঘোষণা করে দিন, ওরা আপনার কাছে আসবে পায়ে হেঁটে ও সব ধরনের ক্ষীণকায় উটের পিঠে, এরা আসবে দূর-দূরান্তের পথ অতিক্রম করে। যাতে তারা তাদের কল্যাণময় স্থানগুলোতে উপস্থিত হতে পারে এবং তিনি তাদেরকে চতুষ্পদ জন্তু হতে যা রিজিক হিসেবে দান করেছেন তার উপর নির্দিষ্ট দিনগুলোতে আল্লাহর নাম উচ্চারণ করতে পারে। তারপর তোমরা তা থেকে খাও এবং দুস্থ, অভাবগ্রস্তকে খাওয়াও।"
উপরোক্ত নির্দেশটি মহান আল্লাহ ইব্‌রাহীম আলাইহিসসালামকে দিয়েছিলেন। তিনি সে নির্দেশ বাস্তবায়ন করেছিলেন। আয়াতের তাফসীরে সাহাবি ও তাবেয়ীদের থেকে সহিহভাবে বর্ণিত হয়েছে যে, ইব্‌রাহীম আলাইহিসসালাম এ নির্দেশ পাওয়ার পর বলেছিলেন, হে আমার প্রভু! আমার ঘোষণা তাদের কানে পৌঁছাবে কে? মহান আল্লাহ তখন সেটা পৌঁছানোর দায়িত্ব নিয়েছিলেন।[৩]
হজ মুসলিমদের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও কল্যাণকর ইবাদত। এটি সামর্থ্যবানদের জন্য জীবনে একবারই ফরজ। বাকি সময়ে সেটি তার জন্য নফল হিসেবে থাকে।