কোরআনের চর্চা অব্যাহত রাখা আবশ্যকশাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলতসৌদিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতরবৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল ফিতরপবিত্র কাবা শরীফ থেকে তিন কিলোমিটার দূর গেলো তারাবির নামাজের কাতার
No icon

যেসব নামাজে ৫০ বছরের গুনাহ মাফ হয়

বান্দার সঙ্গে আল্লাহর সেতুবন্ধনের অন্যতম মাধ্যম নামাজ। এ কারণে ফরজ নামাজের পাশাপাশি নফল নামাজে বেশি মনোযোগ দেওয়ার গুরুত্ব অনেক বেশি। হাদিসের বিভিন্ন বর্ণনা নফল নামাজের একাধিক ফজিলত ও গুরুত্ব ওঠে এসেছে। নফল নামাজের এসব গুরুত্ব ও সাওয়াবগুলো কী কী?

এ নামাজ মানুষকে অশ্লীলতা থেকেও হেফাজত করার ঘোষণা দিয়েছেন স্বয়ং মহান আল্লাহ। নামাজ যদি পরিপূর্ণ হক আদায় করে পড়া যায় তবেই কুরআনের ঘোষণা যথাযথ বাস্ববায়ন হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন-

আপনি আপনার প্রতি প্রত্যাদিষ্ট কিতাব পাঠ করুন এবং নামাজ কায়েম করুন। নিশ্চয় নামাজ অশ্লীল ও গর্হিত কাজ থেকে বিরত রাখে। আল্লাহর স্মরণ সর্বশ্রেষ্ঠ। আল্লাহ জানেন তোমরা যা কর। (সুরা আনকাবুত : আয়াত ৪৫)

১. হাদিসে এসেছে কোনো ব্যক্তি মাগরিবের পর ৬ রাকাত নামাজ আদায় করলে এবং ইশার নামাজের আগে কোনোরূপ মন্দ কথা না বললে তাকে এর বিনিমেয়ে বার বছরের ইবাদাতের সাওয়াব দেয়া হবে। ২. অপর বর্ণনায় এসেছে(তার)পঞ্চাশ বছরের গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে। (ইবনে মাজাহ আত তারগিব)

৩. হজরত হুজাইফা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এসে তার সঙ্গে মাগরিবের নামাজ আদায় করলাম। তিনি মাগরিবের পরে ইশার সালাত পর্যন্ত নফল সালাতে রত থাকলেন। (ইবনু আবী শাইবা, মুসান্নাফ, নাসাঈ)

৪. হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, সাহাবায়ে কেরাম মাগরিব ও ইশার মধ্যবর্তী সময়ে সজাগ থেকে অপেক্ষা করতেন এবং নফল সালাত আদায় করতেন।

৫. হজরত হাসান বসরি রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলতেন, ইশার মধ্যবর্তী সময়ের নামাজও রাতের নামাজ বা তাহাজ্জুদের নামাজ বলে গণ্য হবে। (বাইহাকি)

মনে রাখা জরুরি

ঈমানের পরই নামাজের স্থান। তাই ফরজ ও সুন্নাত নামাজের পাশাপাশি নফল নামাজ আদায়ের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন প্রত্যেক মুসলমানের জন্য অনেক বেশি জরুরি। মাগরিবের ফরজ এবং সুন্নাত আদায়ের পর দুই রাকাত করে ৬ থেকে ২০ রাকাত নফল নামাজকে আওয়াবিনের নামাজ বলা হয়।

ফরজ নামাজের সঙ্গে সঙ্গে নফল নামাজ হচ্ছে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের সবচেয়ে উত্তম পন্থা। এ নামাজের মাধ্যমেই দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ লাভ সম্ভব। হাদিসর বর্ণনা অনুযায়ী কেয়ামতের দিন সর্ব প্রথম নামাজের হিসাব নেয়া হবে।

সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, ফরজ নামাজের পাশাপাশি নফল নামাজের উপর যথাযথ গুরুত্বারোপ করা। নফল নামাজ পড়ে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করা।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে ফরজ নামাজ যথাযথভাবে আদায় করার পর নফল নামাজ পড়ার তাওফিক দান করুন। হাদিসের উপর আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।