সুইডেনে কোরআন অবমাননাকে ইসলামবিদ্বেষ আখ্যা দিয়ে এ ঘৃণ্য ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে মুসলিমবিশ্বের দেশগুলো। সভা, সমাবেশ, বিবৃতির পাশাপাশি অভিনব এক কায়দায় এ ঘটনার প্রতিবাদে অংশ নেন ইরাকের কিছু তরুণ। দেশটির কিরকুক শহরে পবিত্র কোরআন উপহার দেওয়ার উদ্যোগ নেন তারা। এর অংশ হিসেবে ইতিমধ্যে তারা পথচারী ও যাত্রীদের মধ্যে শতাধিক কপি বিতরণ করেন। তরুণদের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানায় স্থানীয় মুসলিমরা।
কোরআনের সম্মান রক্ষায় বেশ কিছু দায়িত্বের কথা বলেছেন বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ও দায়ি ড. হিসাম আল-সামরায়ি। তিনি বলেছেন, পবিত্র কোরআন মুসলিমদের প্রধান ধর্মীয় গ্রন্থ। এ গ্রন্থের সম্মান রক্ষায় মুসলিমদের কিছু দায়িত্ব রয়েছে।
এর মধ্যে অন্যতম হলো, জীবনের সব ক্ষেত্রে সব সময় আল্লাহর নির্দেশনা পালন করা। নিজ পরিবারে কোরআনের চর্চা বাড়ানো, সন্তানদের তা শেখার ব্যবস্থা করা এবং নিজ ঘরে গ্রন্থটি যেন সর্বাধিক পঠিত হয় তা নিশ্চিত করা একজন মুসলিমের কর্তব্য।
উল্লেখ্য, গত ২৮ জুন সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমের কেন্দ্রীয় মসজিদের বাইরে সালওয়ান মোমিকা নামের এক ইরাকি যুবক ও তার সহযোগী ঘোষণা দিয়ে পবিত্র কোরআনের একটি কপিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। ‘মতপ্রকাশের স্বাধীনতা’ অজুহাতে তাদের এই কাজ করার অনুমতি দেন সুইডেনের একটি আদালত। কোরআন অবমাননা করার জন্য তারা পবিত্র ঈদুল আজহার দিনটিকে বেছে নেয়। অবশ্য তুরস্ক ও ওআইসিভুক্ত দেশের তীব্র নিন্দার মুখে সুইডেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ঘটনাকে ‘ইসলামবিদ্বেষ’ আখ্যায়িত করে এর নিন্দা জানায়।
সূত্র : আল-জাজিরা মুবাশির