মুসনাদে আহমদে হযরত আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) কিছুক্ষণ তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়েছিলেন। হঠাৎ মাথা তুলে হাসিমুখে তিনি বললেন অথবা তার হাসির কারণ জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বললেনঃ এই মাত্র আমার উপর সূরা কাওসার অবতীর্ণ হয়েছে। তারপর তিনি বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম পড়ে সূরা কাওসার পাঠ করলেন।
তারপর তিনি সাহাবীদেরকে জিজ্ঞেস করলেনঃ কাওসার কি তা কি তোমরা জান? উত্তরে তারা বললেনঃ আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলই (সঃ) ভাল জানেন। তখন রাসূলুল্লাহ (সঃ) বললেনঃ কাওসার হলো একটা জান্নাতী নহর। তাতে বহু কল্যাণ নিহিত রয়েছে। মহামহিমান্বিত আল্লাহ আমাকে এটা দান করেছেন। কিয়ামতের দিন আমার উম্মত সেই কাওসারের ধারে সমবেত হবে। আসমানে যতো নক্ষত্র রয়েছে সেই কাওসারের পিয়ালার সংখ্যাও ততো।
কিছু লোককে কাওসার থেকে সরিয়ে দেয়া হবে তখন আমি বলবো: হে আমার প্রতিপালক! এরা আমার উম্মত! তখন তিনি আমাকে বলবেনঃ তুমি জান না, তোমার (ইন্তেকালের) পর তারা কত রকম বিদআত আবিষ্কার করেছে!
إِنَّآ أَعْطَيْنَٰكَ ٱلْكَوْثَرَ
فَصَلِّ لِرَبِّكَ وَٱنْحَرْ
إِنَّ شَانِئَكَ هُوَ ٱلْأَبْتَرُ
1, ইন্নাআ তাইনা-কাল কাওছার।
2, ফাসালিল লিরাব্বিকা ওয়ানহার।
3, ইন্না শা-নিআকা হুওয়াল আবতার।
নিশ্চয় আমি আপনাকে কাওসার দান করেছি। অতএব আপনার পালনকর্তার উদ্দেশ্যে নামায পড়ুন এবং কোরবানী করুন। যে আপনার শত্রু, সেই তো লেজকাটা, নির্বংশ।