Islamic News BD - The Lesson of Peace
কেন বৃষ্টি হয়, কুরআন কী বলে?
শনিবার, ১৯ জুন ২০২১ ১৪:৫৭ অপরাহ্ন
Islamic News BD - The Lesson of Peace

Islamic News BD - The Lesson of Peace

সৃষ্টি জগতের জন্য কল্যাণকর জিনিসের মধ্যে অন্যতম একটি বৃষ্টি হওয়া। কিন্তু কে বৃষ্টি দেন? বৃষ্টি হওয়ার কারণ কী? কুরআনুল কারিমের বর্ণনায় এ সম্পর্কে কী বলা হয়েছে?

কুরআনুল কারিমের বর্ণনায় বৃষ্টি বর্ষণের কারণ
১. اَفَرَءَیۡتُمُ الۡمَآءَ الَّذِیۡ تَشۡرَبُوۡنَ - ءَاَنۡتُمۡ اَنۡزَلۡتُمُوۡهُ مِنَ الۡمُزۡنِ اَمۡ نَحۡنُ الۡمُنۡزِلُوۡنَ তোমরা যে পানি পান কর, সে সম্পর্কে তোমরা চিন্তা করেছ কি? তোমরাই কি তা মেঘ হতে বর্ষণ কর, না আমি বর্ষণ করি? (সুরা ওয়াকিয়া : আয়াত ৬৮-৬৯) < এক :শুধু তোমাদের ক্ষুধা নিবারণের ব্যবস্থাই নয় তোমাদের পিপাসা মেটানোর ব্যবস্থাও আমিই করেছি। তোমাদের জীবন ধারণের জন্য যে পানি খাদ্যের চেয়েও অধিক প্রয়োজনীয় তার ব্যবস্থা তোমরা নিজেরা কর নাই। আমিই তা সরবরাহ করে থাকি। (ফাতহুল কাদির)

দুই :আমি তোমাদেরকে শুধু অস্তিত্ব দান করেই বসে নাই। তোমাদের প্রতিপালনের এত সব ব্যবস্থাও আমি করছি, যা না থাকলে তোমরা বেঁচেই থাকতে পারতে না। (আদওয়াউল বায়ান)

তিন :তোমরা এ পানির কোনো ভান্ডারের মালিক নও যে তোমরা চাইলেই তা পাবে। এটা তো শুধু আমার পক্ষ থেকে দান করা।(ফাতহুল কাদির)

চার :আল্লাহর কুদরতের ঐ ব্যবস্থার প্রতি ইঙ্গিত রয়েছে, যার সাহায্যে ভূ-পৃষ্ঠে বসবাসকারী প্রত্যেক মানুষ, জীবজন্তু, পশু-পক্ষী ও হিংস্র জানোয়ারদের জন্য প্রয়োজন অনুযায়ী পানি সরবরাহের নিশ্চয়তা বিধান করা হয়েছে। ফলে প্রত্যেক ব্যক্তি সর্বত্র, সর্বাবস্থায় প্রয়োজন অনুযায়ী পান, গোসল ও ধোয়া এবং ক্ষেত-খামার ও উদ্যান সেচের জন্য বিনামূল্যে পানি পেয়ে যায়। যাতে কূপ খনন ও পাইপ সংযোজনে কারো কিছু ব্যয় হলে তা সুবিধা অর্জনের মূল্য বৈ নয়কি? যেখানে এক ফোঁটা পানির মূল্য পরিশোধ করার ক্ষমতা কারও নেই এবং কারও কাছে তা দাবিও করা হয় না।

>পাঁচ :<দুনিয়াতে আল্লাহ তাআলা যে পানি নাজিল করান তা বর্ষণ করার পর তোমরা ইচ্ছে করলেই তা সংরক্ষন করে রাখতে পার না। (ফাতহুল কাদির) যতক্ষণ না আল্লাহ তাআলা সে ব্যবস্থা করে না দেবেন। কারণ তা নাযিল হওয়ার পর সে পানি নষ্ট করে দেওয়া, ব্যবহার উপযোগী না থাকা অসম্ভব কিছু নয়। কেননা আল্লাহ তাআলা পরবর্তী আয়াতে এ কথা এভাবে তুলে ধরেছেন-

২. وَ نَزَّلۡنَا مِنَ السَّمَآءِ مَآءً مُّبٰرَکًا فَاَنۡۢبَتۡنَا بِهٖ جَنّٰتٍ وَّ حَبَّ الۡحَصِیۡدِ
আর আমি আসমান থেকে বরকতময় পানি নাযিল করেছি। অতঃপর তা দ্বারা আমি উৎপন্ন করি বাগ-বাগিচা ও কর্তনযোগ্য শস্যদানা। এ আয়াতে কর্তনযোগ্য শস্যদানা বা পরিপক্ব শস্যরাজি বলতে সেই ক্ষেতগুলো, যেগুলো থেকে গম, ভুট্টা, জোয়ার, বাজরা, ডাল ও ধান ইত্যাদি ফসল হয় এবং তা সুরক্ষিত করে রাখা হয়। (তাফসিরে আহসানুল বয়ান)