প্রতিবেশী ও আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে যাদের উপার্জন হারাম, তারা অনেক সময় বাসায় দাওয়াত করে বা কোনো হাদিয়া দেয়, যা এড়ানো সম্ভব হয় না। এসব ক্ষেত্রে তাদের বাসায় দাওয়াত খাওয়া বা হাদিয়া নেওয়া বৈধ হবে। তবে এ রকম খাবার বা হাদিয়া থেকে বেঁচে থাকাই উত্তম।কেউ সম্পদ উপার্জনের ক্ষেত্রে কোনো অন্যায় করলে তার দায়ভার সে বহন করবে। হারাম উপার্জনকারী অন্য কাউকে হাদিয়া দিলে বা দাওয়াত করে খাওয়ালে তার জন্য সেটা হারাম হবে না।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) হতে বর্ণিত হয়েছে,
أنه سئل عمن له جار يأكل الربا ، ويدعوه إلى طعامه؟ فقال : أجيبوه ؛ فإنما المهنأ لكم ، والوزر عليه
তাকে এক ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করেছিল, সুদ খায় এমন প্রতিবেশী যদি দাওয়াত দেয়, তাতে অংশগ্রহণ করা যাবে কি না? তিনি বলেন, দাওয়াতে অংশ গ্রহণ করো। তার পরিবেশিত খাবার তোমাদের জন্য গ্রহণীয়। উপার্জনের গুনাহ তার ওপর বর্তাবে। (জামেউল উলুম ওয়াল হেকাম ৭১)
তবে হারাম উপার্জনের সাথে যুক্ত আত্মীয় ও প্রতিবেশীদের তাদের পরিণাম সম্পর্কে সতর্ক করা, হারাম থেকে বিরত থাকার জন্য বোঝানো ও উপদেশ দেওয়া কর্তব্য। যে সব ক্ষেত্রে দাওয়াত বা হাদিয়া গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকলে হারাম উপার্জনকারী নিজের কৃতকর্মের জন্য লজ্জিত হতে পারে, সেসব ক্ষেত্রে তাই করা উচিত। কিন্তু যদি কোনো ক্ষেত্রে পরিস্থিতি এ রকম হয় যে, দাওয়াত গ্রহণ না করলে ইতিবাচক কোনো প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা নেই, শুধু সম্পর্ক নষ্ট হবে, সে সব ক্ষেত্রে দাওয়াত কবুল করে সুযোগ অনুযায়ী তাকে বোঝানোর চেষ্টা করা যেতে পারে।