বিশ্ব আরবি ভাষা দিবস উপলক্ষে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে অনুষ্ঠিত এ সভায় জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হওয়ার ৫০ বছর উদযাপন করা হয়। সৌদি আরবে সাংস্কৃতিক মন্ত্রীর পৃষ্ঠপোষকতায় ও কিং সালমান গ্লোবাল একাডেমি ফর অ্যারাবিক ল্যাঙ্গুয়েজের সহযোগিতায় তা অনুষ্ঠিত হয়। এতে আরব দেশগুলোর কূটনীতিক ও জাতিসংঘের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা অংশ নেন। তারা মানবসভ্যতার ইতিহাস, দর্শন ও শিল্পকলায় আরবি ভাষার অবদান তুলে ধরেন।
জাতিসংঘের প্রেসিডেন্ট ডেনিস ফ্রান্সিস বলেন, ‘আরবি ভাষার পরিব্যাপ্তি এখন সুবিশাল অঞ্চলজুড়ে বিস্তৃত। আরব উপসাগর থেকে মরক্কো ও মৌরিতানিয়া পর্যন্ত যোগাযোগের বৈচিত্র্যময় সেতু হিসেবে তা কাজ করছে। তা ছাড়া অন্যান্য ভাষায় আরবি ভাষার প্রভাব এতটা গভীর যে তা মুছে ফেলা যায় না।
জ্ঞান-বিজ্ঞানের নানা শাখায় এর সমৃদ্ধ অবদানের বিষয়টি আরবদের গভীর প্রভাবের সাক্ষ্য বহন করে।’ জাতিসংঘের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল আমিনা মোহাম্মদ বলেন, ‘বিশ্বের অনেকের কাছে আরবি শুধু একটি ভাষা নয়; বরং এর চেয়েও অনেক বেশি। আরবি থেকে ইংরেজিতে অনেক শব্দ সংযুক্ত হয়েছে যা আরব বিশ্বের কাছে পশ্চিমারা কতটা ঋণী তার প্রমাণ বহন করে। সারা বিশ্বের সবার কাছে যে আরবি শব্দটি খুবই পরিচিত তা হলো ‘সালাম’।