জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ গাজা উপত্যকায় হামাসের হাতে জিম্মিদের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে বিশেষ বৈঠকে বসেছে। এমনকি ইসরাইল তার রাফাহ অপারেশনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মধ্যেই এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৭ই অক্টোবর ফিলিস্তিনি যোদ্ধা গোষ্ঠীর দ্বারা মানুষকে পণবন্দি করার প্রক্রিয়াকে ‘সন্ত্রাসবাদের হাতিয়ার’ হিসেবে নিন্দা করেছে।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড বলেছেন, প্রতিটি জিম্মির মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত তারা বিশ্রাম নেবে না। গত বছরের ৭ই অক্টোবর হামাস ইসরাইলে হামলা চালানোর পর ১২০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়। উপরন্তু, ২০০ জনেরও বেশি মানুষকে জিম্মি করে নিয়েছিল। দু’পক্ষের মধ্যে সংক্ষিপ্ত যুদ্ধবিরতির সময় তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে মুক্তি দেয়া হয়েছিল। তবে ১৩২ জন বন্দি রয়েছেন। ইসরাইলের জাতিসংঘের রাষ্ট্রদূত গিলাদ এরদান বৈঠকে একথা জানান। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত তিনটি প্রস্তাবে সব জিম্মিকে অবিলম্বে ও নিঃশর্ত মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
এদিকে, ইসরাইলের জাতিসংঘের রাষ্ট্রদূত গিলাদ এরদান জিম্মিদের মুক্তি না দেয়া পর্যন্ত হামাসের বিরুদ্ধে কাউন্সিলের পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে শোশান হারান হামাসের হাতে বন্দি থাকা অবস্থায় সেই ৫০ দিনের কথা স্মরণ করেন। তাকে তার মেয়ে এবং দুই নাতি-নাতনিসহ গত বছরের ৭ই অক্টোবর হামাস জিম্মি করে এবং নভেম্বরে ছেড়ে দেয়া হয়।