Islamic News BD - The Lesson of Peace
সূরা কাহাফ অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ একটি সূরা
বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪ ০০:৪৩ পূর্বাহ্ন
Islamic News BD - The Lesson of Peace

Islamic News BD - The Lesson of Peace

পবিত্র কোরআন মাজিদে মোট ১১৪ টি সূরা রয়েছে। এদের মধ্যে সূরা কাহাফ অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ একটি সূরা, যা মক্কায় অবতীর্ণ হয়। এ সুরার আয়াত সংখ্যা ১১০। নিয়মিত সুরাটি তিলাওয়াতে অসংখ্য সওয়াবের কথা বিভিন্ন হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। এছাড়াও, জুমার দিনে এ সূরা তিলাওয়াতের অনেক সওয়াব ও ফজিলত রয়েছে।

পৃথিবীতে সবচেয়ে ভয়াবহ ফেতনা হলো দাজ্জালের ফেতনা। এ ফেতনা এতই ভয়াবহ যে, যদিও রাসূল (সা.) এর জীবনে দাজ্জালের ফিতনা সংঘটিত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা ছিল না, তবুও তিনি প্রত্যেক নামাজের পরে দাজ্জালের ফেতনা থেকে বাঁচার জন্য দোয়া করতেন। আমাদের জন্য আশাঁর বাণী হচ্ছে এই যে যদি আমরা সূরা কাহাফের প্রথম ১০ মুখস্থ করি তাহলে দাজ্জালের ফেতনা আমাদেরকে স্পর্শ করতে পারবে না। যেমন হাদিসে এসেছে, আবু দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসূল (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি সূরা কাহাফের প্রথম দশ আয়াত মুখস্থ করবে সে দাজ্জালের ফেৎনা থেকে হেফাজত থাকবে। (মুসলিম, হাদিস নং : ৮০৯)। 

আবার অন্য এক হাদিসে এসেছে, নাওয়াস ইবনে সাময়ান (রা.) থেকে বর্ণিত এক হাদিসে রাসূল (সা.) বলেন, তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি দাজ্জালকে পাবে, সে যেন সূরা কাহাফের শুরুর অংশ পড়ে। (মুসলিম, হাদিস নং : ২৯৩৭)। এছাড়াও এই সূরা কাহাফ দাজ্জালের ফেতনা থেকে বাঁচানোর পাশাপাশি পাঠকারীর জন্য আলো হবে। যেমন হাদিসে এসেছে, আবু সাইদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, যে ব্যক্তি সূরা কাহাফ যেমনভাবে নাজিল হয়েছে সেভাবে পড়বে, তার জন্য কেয়ামতের দিন সেটা নূর (আলো) হবে। (শুয়াবুল ঈমান, হাদিস নং: ২২২১)।

অন্য এক হাদিসে এসেছে, আবু সাইদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেন, যেমনভাবে নাজিল করা হয়েছে, সেভাবে যে ব্যক্তি সূরা কাহাফ পড়বে, তার জন্য সেটা নিজের স্থান থেকে মক্কা পর্যন্ত আলো হবে এবং যে শেষ দশ আয়াত পড়বে, সে দাজ্জালের গ-ির বাইরে থাকবে এবং দাজ্জাল তার ওপর কোনোরূপ প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না। (সুনানে নাসাঈ, হাদিস নং : ১০৭২২)।

সুরার অলৌকিক এক ফজিলত অন্য এক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। যেমন : হজরত বারা ইবনে আজেব (রা.) থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি রাতে সূরা কাহাফ তেলাওয়াত করছিলেন। তার কাছে দুটি রশি দিয়ে একটি ঘোড়া বাঁধা ছিল। এরই মধ্যে একটি মেঘখ- এসে তাকে ঘিরে ফেলে। এরপর যখন মেঘখ-টি তার খুব কাছে চলে আসছিল, তখন তার ঘোড়া ছোটাছুটি করতে লাগল। সকালে ওই ব্যক্তি রাসূল (সা.)-এর কাছে এসে রাতের ঘটনা জানালেন। তিনি বললেন, ওটা ছিল সাকিনা (আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশেষ রহমত), যা কোরআন তেলাওয়াতের বরকতে নাজিল হয়েছিল। (বোখারি, হাদিস নং : ৫০১১, ৩৬১৪)।

জুমার দিনে সূরা কাহাফ পাঠের ভিন্ন ফজিলতও হাদিসে বর্ণিত আছে। যেমন, আবূ সা’ঈদ আল্ খুদরী রা. হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন সূরা আল কাহাফ পড়বে, তার (ইমানের) নূর এ জুমাহ হতে আগামী জুমাহ পর্যন্ত চমকাতে থাকবে। (মিশকাত ২১৭৫)।