Islamic News BD - The Lesson of Peace
জুমার দিন পরিচ্ছন্নতার গুরুত্ব
শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪ ১৭:১৬ অপরাহ্ন
Islamic News BD - The Lesson of Peace

Islamic News BD - The Lesson of Peace

আল্লাহ সুবাহানাহু ওয়াতাআলার কাছে জুমার দিন বিশেষ ফজিলতপূর্ণ দিন। নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বিভিন্ন হাদিসে জুমার দিনটিকে মর্যাদাপূর্ণ দিন ও সর্বশ্রেষ্ঠ দিন বলেছেন। আবু লুবাবা ইবনুল মুনজির থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন,

إِنَّ يَوْمَ الْجُمُعَةِ سَيِّدُ الْأَيَّامِ وَأَعْظَمُهَا عِنْدَ اللَّهِ وَهُوَ أَعْظَمُ عِنْدَ اللَّهِ مِنْ يَوْمِ الْأَضْحَى وَيَوْمِ الْفِطْرِ

জুমার দিন দিনসমূহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ। জুমার দিন আল্লাহ তাআলার কাছে সবচেয়ে মহান দিন। এমনকি এ দিন আল্লাহ তাআলার কাছে ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর তথা ইসলামের দুই ঈদের দিন থেকেও মহান। (মুসনাদে আহমাদ: ১৫৫৪৮, সুনানে ইবনে মাজা: ১০৮৪১)

তাই জুমার দিনটিকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। এ দিনের আমলগুলো গুরুত্বের সাথে পালন করা উচিত। জুমার দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আমল জুমার নামাজ আদায় করা। জুমার নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। কোরআনে আল্লাহ তাআলা জুমার নামাজের জন্য দ্রুত মসজিদে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। জুমার নামাজের গুরুত্ব বোঝাতে আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন,

من تَرَكَ ثلاث جمعٍ تهاوناً بها طبع الله على قلبه

যে ব্যক্তি অলসতা করে ধারাবাহিকভাবে তিনটি জুমার জামাতে অনুপস্থিত থাকে, আল্লাহ তা আলা তার অন্তরে মোহর মেরে দেন। (সুনানে নাসাঈ: ১৩৭২)
জুমার নামাজে যাওয়ার আগে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন হওয়াও জুমার দিনের একটি বিশেষ আমল। জুমার দিন পরিচ্ছন্ন হওয়ার তাকিদ এসেছে বিভিন্ন হাদিসে। আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়সাল্লাম) জুমার দিনের গুরুত্বপূর্ণ আমলগুলোর মধ্যে গোসল অন্তর্ভুক্ত করেছেন। আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়সাল্লাম) বলেন,

مَنِ اغْتَسَلَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ، وَتَطَهَّرَ بِمَا اسْتَطَاعَ مِنْ طُهْرٍ، ثُمَّ ادَّهَنَ أَوْ مَسَّ مِنْ طِيبٍ، ثُمَّ رَاحَ فَلَمْ يُفَرِّقْ بَيْنَ اثْنَيْنِ، فَصَلَّى مَا كُتِبَ لَهُ، ثُمَّ إِذَا خَرَجَ الإِمَامُ أَنْصَتَ، غُفِرَ لَهُ مَا بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْجُمُعَةِ الأُخْرَى

যে ব্যাক্তি জুমার দিন গোসল করে এবং যথাসম্ভব উত্তমরূপে পবিত্রতা অর্জন করে, তেল মেখে নেয় অথবা সুগন্ধি ব্যবহার করে, তারপর মসজিদে যায়, মানুষকে ডিঙ্গিয়ে সামনে যাওয়া থেকে বিরত থাকে, তার ভাগ্যে নির্ধারিত পরিমাণ নামাজ আদায় করে, ইমাম যখন খুতবার জন্য বের হন তখন চুপ থাকে, তার এ জুমা এবং পরবর্তী জুমার মধ্যবর্তী সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়। (সহিহ বুখারি: ৯১০)

আব্দুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত আরেকটি হাদিসে জুমার দিন গোসল করার নির্দেশ দিয়ে আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন,

إِذَا أَرَادَ أَحَدُكُمْ أَنْ يَأْتِيَ الْجُمُعَةَ فَلْيَغْتَسِلْ

তোমাদের কেউ জুমার নামাজে যেতে ইচ্ছা করলে সে যেন গোসল করে নেয়। (সহিহ মুসলিম: ১৮২৪)

জুমার দিন মিসওয়াক করা ও সুগন্ধি লাগানোও ফজিলতপূর্ণ আমল। আবু সাইদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত আরেকটি হাদিসে জুমার দিন গোসল করার পাশাপাশি, মিসওয়াক করা ও সুগন্ধি লাগানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন,

غُسْلُ يَوْمِ الْجُمُعَةِ عَلَى كُلِّ مُحْتَلِمٍ وَسِوَاكٌ وَيَمَسُّ مِنَ الطِّيبِ مَا قَدَرَ عَلَيْهِ

জুমার দিন প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির গোসল ও মিসওয়াক করা কর্তব্য এবং সামর্থ্য থাকলে সে যেন সুগন্ধি ব্যবহার করে (সহিহ মুসলিম: ৮৪৬)

উবায়দ ইবনু সাব্বাক্ব (রহ.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কোন এক জুমার দিন বলেছেন,

يَا مَعْشَرَ الْمُسْلِمِينَ إِنَّ هَذَا يَوْمٌ جَعَلَهُ اللَّهُ عِيدًا فَاغْتَسِلُوا وَمَنْ كَانَ عِنْدَهُ طِيبٌ فَلَا يَضُرُّهُ أَنْ يَمَسَّ مِنْهُ وَعَلَيْكُمْ بِالسِّوَاكِ

হে মুসলমানরা! এ দিনটিকে আল্লাহ তাআলা ঈদ হিসেবে গণ্য করেছেন। তাই তোমরা এ দিন গোসল করবে। যার কাছে সুগন্ধি আছে সে তা ব্যবহার করবে। আর তোমরা অবশ্যই মিসওয়াকও করবে। (সুনানে ইবনে মাজা: ১০৯৮)