Islamic News BD - The Lesson of Peace
নিরুপায় হয়ে গ্রহণ করা সুদের টাকা প্রসঙ্গে ইসলাম
সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪ ০১:১৭ পূর্বাহ্ন
Islamic News BD - The Lesson of Peace

Islamic News BD - The Lesson of Peace

সম্প্রতি শেষ হলো ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জুন ক্লোজিং। ফলে গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাচ্ছে বার্ষিক সুদ বা মুনাফার টাকা। যারা সুদের ভয়াবহতা সম্পর্কে জানে, তারা যথাসম্ভব সুদি কার্যক্রম থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করে। জুন ক্লোজিংয়ের পর তাদের অ্যাকাউন্টে আসা টাকা নিয়ে চিন্তায় থাকে। 

কারণ পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনরা! তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং সুদের যা বকেয়া আছে তা ছেড়ে দাও, যদি তোমরা মুমিন হও। অতঃপর যদি তোমরা না করো, তাহলে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের পক্ষ থেকে যুদ্ধের ঘোষণা নাও।’ (সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ২৭৮-২৭৯)

জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) সুদখোর, সুদদাতা, সুদের লেখক ও তার সাক্ষীদ্বয়ের ওপর অভিসম্পাত করেছেন এবং বলেছেন এরা সবাই সমান। (মুসলিম, হাদিস : ৩৯৮৫)

সুদ সম্পর্কে কোরআন-হাদিসের এমন নিষেধাজ্ঞার দরুন মুমিনরা সুদভিত্তিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে যতটুকু সম্ভব দূরে থাকার চেষ্টা করে।কিন্তু কখনো কখনো নিরুপায় হয়ে সুদভিত্তিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সহায়তা নিতে বাধ্য হয়। যেমন—স্যালারি অ্যাকাউন্টের কথাই বলা যাক। সরকারি ও বেসরকারি বড় বড় প্রতিষ্ঠানে সাধারণত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা সরাসরি হাতে হাতে দেওয়া হয় না, বরং ব্যাংকের মাধ্যমে দেওয়া হয়। সে জন্য কোনো ব্যাংকে প্রতিষ্ঠানের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীর নামে পৃথক পৃথক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়। 

প্রতিষ্ঠান প্রতি মাসের নির্দিষ্ট তারিখে প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টে তার বেতন-ভাতা জমা দিয়ে দেয়। এরপর কর্মচারীরা ব্যাংকে গেলেই নিজ নিজ বেতন উঠাতে পারে। এই অ্যাকাউন্ট যেহেতু সেভিংস অ্যাকাউন্ট হয়, ফলে ইচ্ছা না থাকলেও তাদের অ্যাকাউন্টে সুদের অর্থ চলে আসে।

উল্লেখ্য, এখানে চাকরিজীবীর কিছুই করার থাকে না। কোনো চাকরিজীবী এতে আপত্তি করলেও তার জন্য প্রতিষ্ঠান আলাদাভাবে ইসলামী শরিয়াভিত্তিক পরিচালিত ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট করতে দেবে না।