Islamic News BD - The Lesson of Peace
কোরআনে যে নবীর কথা সবচেয়ে বেশি আলোচনা করা হয়েছে
মঙ্গলবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০০:৩৬ পূর্বাহ্ন
Islamic News BD - The Lesson of Peace

Islamic News BD - The Lesson of Peace

মানুষকে হেদায়েত, আলো ও সরল-সঠিক পথে পরিচালিত করার জন্য আল্লাহ তায়ালা নবী-রাসুল পাঠিয়েছেন। এ মহান নবুয়তি দায়িত্ব পালনের জন্য আল্লাহ তায়ালা নিষ্পাপ, নিষ্কলুষ ও পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো মানুষদের নির্বাচিত করেছেন। তাঁদের ‘নবী-রাসুল’ বলা হয়। 

যেসব নবীর প্রতি কিতাব নাজিল করা হয়েছে এবং নতুন শরিয়ত দেওয়া হয়েছে, তাঁদের রাসুল বলা হয়। আর প্রত্যেক পয়গম্বরকেই নবী বলা হয়, তাঁকে নতুন কিতাব ও নতুন শরিয়ত দেওয়া হোক বা না হোক। (শরহুল আকাইদিন নাসাফিয়্যা : ১৩)। যেসব নবীর প্রতি কিতাব নাজিল হয়নি তাঁরা আগের রাসুলদের প্রচারিত শরিয়তের অনুসরণ করে দ্বিনের কাজ আঞ্জাম দিয়েছেন।

হজরত আবু জর গিফারি রাযিয়াল্লাহু আনহু প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে প্রশ্ন করেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! নবীদের সংখ্যা কত? তিনি জবাব দিলেন, ১ লাখ ২৪ হাজার। তাদের মধ্যে ৩১৫ জন হচ্ছেন রাসূল। (মিরকাত, মোল্লা আলী কারি : ১/৫৭) 

আল্লাহ তায়ালা মানুষের হেদায়েতের জন্য যেই নবী-রাসূলদের প্রেরণ করেছিলেন তাদের অনেকের কথা পবিত্র কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে বর্ণিত হয়েছে।

এরমধ্যে ২৫ জন নবীর কথা সরাসরি পবিত্র কোরআনে উল্লেখ করা হয়েছে। আর এই নবীদের মধ্যে হজরত মুসা আ.-এর কথা সব থেকে বেশি আলোচনা করা হয়েছে কোরআনে।  তার নাম পবিত্র কোরআনে ১৩৬ বার আলোচনা করা হয়েছে। এটি তাকে আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে প্রদত্ত বিশেষ বৈশিষ্ট্যগুলোর একটি। 

আল্লাহ তায়ালা নবীদেরকে কয়েকটি উদ্দেশ্যে প্রেরণ করেছিলেন সেগুলো হলো—


সত্যের দিকে আহ্বান

 নবী-রাসূলদের প্রধান কাজ হলো সত্য ও ন্যায়ের দিকে আহ্বান। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন- ‘বলুন! এটাই আমার পথ। আমি (মানুষকে) আল্লাহর দিকে ডাকব’ (সূরা ইউসুফ-১০৮)। অন্যত্র ইরশাদ করেন, ‘আর তার কথার চেয়ে কার কথা অধিক সুন্দর যে (মানুষকে) আল্লাহর দিকে ডাকে এবং নেক কাজ করে, আর বলে আমি মুসলিম’ (সূরা ফুসসিলাত-৩৩)। আরো ইরশাদ করেনÑ ‘হে আমার জাতি! আমার কী হলো, আমি তোমাদের ডাকছি মুক্তির দিকে আর তোমরা আমাকে ডাকছ দোজখের দিকে’ (সূরা গাফির-৪১)।

জ্ঞান-বিজ্ঞান শিক্ষা দান 

জ্ঞান হলো আলো। নবী-রাসূলরা মানুষদের নির্ভুল ও ওহি প্রদত্ত জ্ঞান-বিজ্ঞান শিক্ষা দিয়েছেন। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, ‘আল্লাহ মুমিনদের ওপর বিরাট অনুগ্রহ করেছেন যে, তাদের নিজেদের মধ্য থেকেই নবী পাঠিয়েছেন, যে তাদের নিকট তাঁর আয়াত পাঠ করেন, তাদেরকে পবিত্র ও পরিশুদ্ধ করেন এবং তাদেরকে কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দেন, যদিও তারা আগে ছিল স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে’ (সূরা আলে ইমরান-১৬৪)।

দ্বীনকে বিজয়ী করা

পৃথিবী আল্লাহর, ফলে পৃথিবীতে আইন চলবে একমাত্র আল্লাহর। এ লক্ষ্যে নবী-রাসূলরা কাজ করেছেন। আর এ পথে তাঁরা আজীবন পরিশ্রম করেছেন। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, ‘তিনি ওই সত্তা যিনি তাঁর রাসূলকে হিদায়াত ও সত্য দ্বীন দিয়ে পাঠিয়েছেন, যাতে সব বাতিল ধর্মের ওপর ইসলামকে বিজয়ী করতে পারে’ (সূরা সফ-৯)।