১. নামাজের রুকু, সিজদা, বৈঠক ইত্যাদি ঠিকঠাক মতো আদায় করা। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, ‘জনৈক গ্রাম্য সাহাবি নবী কারিম (সা.)-এর নিকটে এসে তাড়াহুড়া করে নামাজ আদায় করছিলেন- রুকু, সিজদা ও বৈঠকাদি ঠিকমতো আদায় করেননি। নবীজি তাকে তিন তিনবার দাঁড় করিয়ে বললেন, তুমি দাঁড়াও, পুনরায় নামাজ আদায় করো; কারণ তুমি নামাজ আদায়ই করোনি।’ -সহিহ বোখারি
২. নামাজের বিভিন্ন নিয়মকানুন যথাযথভাবে আদায় করা। নামাজের মাঝে সব ধরনের অপ্রয়োজনীয় কাজ ও বক্রতা মুক্ত রাখার নাম নামাজ কায়েম করা।
৩. ত্রুটি-বিচ্যুতিমুক্ত নামাজ আদায়ে সচেতন থাকা।
৪. সঠিক অর্থে নামাজ আদায় করা।
৫. জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায় করা।
৬. নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় নির্ধারিত সময়ে নামাজ আদায় করা।
৭. নামাজে উদাসীন না থাকা।
৮. নিয়মিতভাবে নামাজ আদায় করা।
হেফাজতে নামাজ : সফলকাম মুমিনদের গুণাবলি বর্ণনা করতে যেয়ে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘সফলকাম ঈমানদার তারা যারা পরস্পর নামাজ হেফাজত করে।’
নামাজে বিনয়ী হওয়া : সফল মুমিনদের গুণাবলী বর্ণনা করতে যেয়ে আল্লাহতায়ালা আরো বলেন, ‘নিশ্চিভাবে ওই মুমিনগণ সফল হয়েছেন, যারা নামাজের মধ্যে খুশু বা ভীতসন্ত্রস্ত ও বিনয়ী থাকে।’ -সূরা মুমিনূন : ২
নামাজে বিনয়ী, মনোযোগী ও যত্নবান হওয়ার মাধ্যমে সফল মুমিনের নিশ্চয়তা প্রমাণ করে। সঠিকভাবে নামাজ আদায় করার ক্ষেত্রে নবী কারিম (সা.)-এর দেখানো পন্থাই একমাত্র সঠিক পথ। তাই নবীজির (সা.) তরিকা অনুসরণ করে নামাজে গভীর মনোনিবেশ করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন কৌশল, ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার ওপর আপনি সবচেয়ে কার্যকরী পদ্ধতিগুলো খুঁজে পাবেন।
কোরআন-হাদিসে বর্ণিত আল্লাহতায়ালার বড়ত্ব, নামাজ আদায়ের ফজিলত ও নামাজ আদায় না করার ভয়ঙ্কর শাস্তির কথা গভীরভাবে ভাবলে, চিন্তা-গবেষণা করলে প্রতিটি ব্যক্তির নামাজ আদায়ের প্রতি আগ্রহ তৈরি হবে।