Islamic News BD - The Lesson of Peace
ইসলামে শ্রমিকের মর্যাদা ও অধিকার
বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫ ১৭:০৬ অপরাহ্ন
Islamic News BD - The Lesson of Peace

Islamic News BD - The Lesson of Peace

শান্তি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার ধর্ম ইসলাম শ্রমিকদের প্রতি সুবিচারের নির্দেশ দিয়েছে। ইসলাম শ্রমের প্রতি যেমন মানুষকে উৎসাহিত করেছে, তেমনি শ্রমিকের সম্মান ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার পূর্ণ প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, অতঃপর নামাজ সমাপ্ত হলে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ো এবং আল্লাহর অনুগ্রহ তালাশ করো। (সুরা : জুমুআ, আয়াত : ১০)

অত্র আয়াতে আল্লাহ ফরজ নামাজ আদায়ের পর রিজিকের সন্ধানে পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

এক হাদিস শরিফে এসেছে, ফরজ ইবাদতগুলোর পর হালাল উপার্জন ফরজ দায়িত্ব (তিরমিজি)
অন্য হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, হালাল উপার্জনগুলোর মধ্যে তা সর্বোত্তম, যা কায়িক শ্রম দ্বারা অর্জন করা হয়। (মুসলিম)

অন্য হাদিসে এসেছে নিজ হাতের শ্রমে উপার্জিত জীবিকার চেয়ে উত্তম আহার কেউ কখনো গ্রহণ করেনি।

(বুখারি, হাদিস : ২০৭২)

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ নবী মুহাম্মদ (সা.) শ্রমিক ও শ্রমজীবী মানুষকে অত্যন্ত সম্মানের দৃষ্টিতে দেখতেন।

কারণ যারা মানুষের সুখের জন্য মাথার ঘাম পায়ে ফেলে নিজেদের তিলে তিলে নিঃশেষ করে দেয়, তারা তো মহান আল্লাহর কাছেও মর্যাদার অধিকারী। শ্রমের মর্যাদা বোঝাতে গিয়ে রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, কারো জন্য নিজ হাতের উপার্জন অপেক্ষা উত্তম আহার্য আর নেই। আর আল্লাহর নবী দাউদ (আ.) স্বহস্তে জীবিকা নির্বাহ করতেন। (বুখারি, হাদিস : ২৭৫৯)

শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ইসলাম বদ্ধপরিকর।
আর একজন শ্রমিকের সবচেয়ে বড় অধিকার বা দাবি হলো, তার শ্রমের যথোপযুক্ত পারিশ্রমিক লাভ করা। এ জন্য রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, (ইবনু মাজাহ, হাদিস : ২৪৪৩)


মালিকের করণীয়

ইসলামে মালিক-শ্রমিক সম্পর্ক হবে পিতা-সন্তানের মতো। নিজের পরম আত্মীয়ের মতোই শ্রমিকের সঙ্গে আন্তরিকতাপূর্ণ আচরণ করা, পরিবারের সদস্যদের মতোই তাদের আপ্যায়ন করা, শ্রমিকের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্নার প্রতিটি মুহূর্তের প্রতি মালিকের খেয়াল রাখা এবং তাদের সুবিধা-অসুবিধার কথা বিবেচনা করা মালিকের দায়িত্ব ও কর্তব্য। শ্রমিককে তার প্রাপ্য পূর্ণভাবে যথাসময়ে প্রদান করাও মালিকের একটি প্রধান দায়িত্ব।

অনেক সময় শ্রমিকদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে মালিকরা উপযুক্ত মজুরি না দিয়ে যৎসামান্য মজুরি দিয়ে শ্রমিকদের অধিকার বঞ্চিত করেন। এ ধরনের মালিকদের সম্পর্কে রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, মহান আল্লাহ বলেন, কিয়ামতের দিন তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হবে। তাদের মধ্যে একজন হলো যে শ্রমিকের কাছ থেকে পূর্ণ শ্রম গ্রহণ করে অথচ তার পূর্ণ মজুরি প্রদান করে না। (বুখারি, হাদিস : ২৯৮৪)