বৈঠক বা হাঁটুগেড়ে বসা নামাজের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। দুই রাকাতবিশিষ্ট নামাজের শেষে বৈঠক করা ফরজ, চার রাকাত ও তিন রাকাতবিশিষ্ট নামাজের প্রথম দুই রাকাতের পর বৈঠক করা ওয়াজিব এবং শেষ বৈঠক ফরজ। নামাজের প্রথম বৈঠকে শুধু তাশাহুদ পড়া ওয়াজিব, শেষ বৈঠকে তাশাহুদ পড়া ওয়াজিব, দরুদ ও দোয়ায়ে মাসুরা পড়া সুন্নত।
যে কোনো ফরজ নামাজে শেষ বৈঠক না করে কেউ যদি তৃতীয়, চতুর্থ বা পঞ্চম রাকাতের জন্য দাঁড়িয়ে যায় অর্থাৎ ফজরের নামাজে দ্বিতীয় রাকাতের পর বৈঠক না করে তৃতীয় রাকাতের জন্য দাঁড়িয়ে যায়, মাগরিবের নামাজে তৃতীয় নামাজের পর বৈঠক না করে চতুর্থ রাকাতের জন্য দাঁড়িয়ে যায় অথবা জোহর, আসর ও ইশার নামাজে চতুর্থ রাকাতের পর বৈঠক না করে পঞ্চম রাকাতের জন্য দাঁড়িয়ে যায়, তাহলে সিজদায় যাওয়ার আগ পর্যন্ত ভুল বুঝতে পারলে তার করণীয় হলো ওই অবস্থা থেকেই বৈঠকে ফিরে আসা এবং এই ভুলের কারণে সাহু সিজদা দিয়ে নামাজ শেষ করা।
যদি অতিরিক্ত রাকাতের সিজদা করে ফেলার আগে ভুল বুঝতে না পারে, তাহলে সাহু সিজদার মাধ্যমে আর ওই ভুলের প্রতিকার করা যাবে না। এ রকম ক্ষেত্রে ওই নামাজ নফল হিসেবে আদায় হবে। সিজদায় গিয়ে বা সিজদার পর ভুল বুঝতে পারলে নামাজির করণীয় হলো যথা নিয়মে শেষ বৈঠকের মাধ্যমে ওই নামাজ নফল হিসেবে শেষ করা এবং ফরজ নামাজটি নতুনভাবে আদায় করা।
কেউ যদি তিন বা চার রাকাত বিশিষ্ট নামাজে প্রথম বৈঠক না করে ভুলে তৃতীয় রাকাতের জন্য দাঁড়িয়ে যায়, দাঁড়িয়ে যাওয়ার পর মনে পড়ে সে বৈঠক করেনি, তাহলে তার করণীয় হলো বৈঠকের জন্য ফিরে না এসে নামাজ অব্যাহত রাখা। যথা নিয়মে তৃতীয় রাকাত বা চতুর্থ রাকাত শেষ করে শেষ বৈঠকে বসা এবং প্রথম বৈঠক ছুটে যাওয়ার কারণে সাহু সিজদা করা।যদি প্রথম বৈঠক না করে দাঁড়িয়ে যাওয়ার পর বৈঠকের কথা মনে পড়ায় আবার বসে পড়ে এবং তাশাহহুদ পড়ে দাঁড়ায়, তাহলেও নামাজ শেষে তাকে সাহু সিজদা দিতে হবে। দাঁড়িয়ে যাওয়ার পর আবার বসে পড়া সঠিক পদ্ধতি নয়, কিন্তু এ কারণে নামাজ নষ্ট হবে না।এ রকম ভুল হওয়ার পরও ইমাম বা বা একা নামাজ আদায়কারী যদি সাহু সিজদা না করে, তাহলে ওই নামাজ পুনরায় পড়ে নেওয়া ওয়াজিব।