Islamic News BD - The Lesson of Peace
কেরাত মনে মনে পড়লে নামাজ হবে?
সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৫:৫৭ অপরাহ্ন
Islamic News BD - The Lesson of Peace

Islamic News BD - The Lesson of Peace

প্রশ্ন: নামাজের কেরাত কি মুখে উচ্চারণ করে পড়া জরুরি? মনে মনে কেরাত পড়লে কি নামাজ হবে?

উত্তর: একা নামাজ আদায়কারী এবং ইমামের জন্য ফরজ নামাজের প্রথম দুই রাকাতে এবং সুন্নত ও নফল নামাজের প্রতি রাকাতে কোরআনের যে কোনো জায়গা থেকে কিছু অংশ পড়া ফরজ। সুরা ফাতেহা পড়া ওয়াজিব, সুরা ফাতেহার পর কোরআনের অন্য জায়গা থেকে কমপক্ষে ছোট তিনটি আয়াত বা বড় একটি আয়াত পড়া ওয়াজিব।

নামাজের এই কেরাত মুখে উচ্চারণ করে পড়া জরুরি। মুখে উচ্চারণ করে না পড়লে, মনে মনে পড়লে তা কেরাত হিসেবে গণ্য হয় না। তাই কেউ যদি নামাজের ফরজ কেরাত মুখে উচ্চারণ করে না পড়ে, মনে মনে পড়ে, তাহলে নামাজ বাতিল হয়ে যাবে। আর ওয়াজিব কেরাত মনে মনে পড়লে সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে।

নামাজের কেরাত কিছু নামাজের জামাতে উচ্চৈস্বরে পড়া ওয়াজিব, কিছু নামাজের জামাতে নিম্নস্বরে পড়া ওয়াজিব।

ফজর, জুমা, দুই ঈদের নামাজ, তারাবিহ, রমজান মাসের বেতর নামাজ এবং মাগবির ও ইশার প্রথম দুই রাকাতে ইমামের জন্য জোরে কেরাত পড়া সুন্নত। মুক্তাদি অর্থাৎ ইমামের পেছনে নামাজ আদায়কারীরা এ সব নামাজে চুপ থেকে ইমামের কেরাত শুনবেন।

সংখ্যাগরিষ্ঠ আলেমদের মত অনুযায়ী মুনফারিদ বা একা নামাজ আদায়কারীর জন্যও ফজর এবং মাগরিব ও ইশার প্রথম দুই রাকাতে উচ্চৈস্বরে কেরাত পড়া সুন্নত। তবে নিম্নস্বরে কেরাত পড়লেও নামাজ হয়ে যাবে। নবীজির (সা.) স্ত্রী আয়েশাকে (রা.) প্রশ্ন করা হয়েছিল, নবীজি (সা.) রাতের নামাজে উচ্চৈস্বরে কোরআন পড়তেন না নিম্নস্বরে? তিনি উত্তর দিয়েছিলেন কখনও উচ্চৈস্বরে পড়তেন, কখনও নিম্নস্বরে। (মুসনাদে আহমদ)

জোহর ও আসরের নামাজে ইমাম ও একা নামাজ আদায়কারী নিম্নস্বরে কেরাত পড়বেন। মুক্তাদি কেরাত পড়লে নিম্নস্বরেই পড়বেন তা বলাবাহুল্য। মুনফারিদ বা একা নামাজ আদায়কারীও এ দুই ওয়াক্ত নামাজে নিম্নস্বরে কেরাত পড়বেন। কেউ ভুল করে উচ্চৈস্বরে কেরাত পড়লে সাহু সিজদা দিতে হবে।

যে নামাজগুলোতে নিম্নস্বরে কেরাত পড়তে হয়, সেগুলোতে সুরা কেরাত এ পরিমাণ আওয়াজে পাঠ করা উত্তম যেন কেরাতের আওয়াজ নামাজি নিজে শুনতে পায়, সেখানে উপস্থিত অন্যরা শুনতে না পায়। কেউ যদি ঠোঁট নেড়ে একেবারে নিচু আওয়াজে হরফের মাখরাজ যথাযথভাবে আদায় করে পড়ে, নিজে শুনতে না পায়, তাহলেও তার নামাজ আদায় হয়ে যাবে।