কে জান্নাতি আর কে জাহান্নামি নিশ্চিত করে বলা কঠিন। তবে জান্নাতি ও জাহান্নামি লোকদের ধরন কেমন হবে সে সম্পর্কে কিছু নমুনা রয়েছে। ছোট্ট একটি হাদিসে যা সুস্পষ্ট করে ঘোষণা দিয়েছেন নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তা হলো দুনিয়ায় জান্নাতি ও জাহান্নামি লোকেরা কেমন হবে?
শিরকমুক্ত ঈমান নিয়ে যারা নেক আমল করবে এবং আল্লাহর রহমতের ওপর ভরসা করবে তারা জান্নাতি। আর যাদের ঈমান শিরকমিশ্রিত কিংবা শিরককারী তারা কখনো জান্নাতে যেতে পারবে না। এমনটি ঘোষণা করেছেন স্বয়ং আল্লাহ তাআলা। তবে জান্নাতি ও জাহান্নামি লোকের আচরণগত নমুনা সম্পর্কে হাদিসে এসেছে-
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, জান্নাতি লোক হবে দুনিয়াতে দুর্বল। আরা যারা জাহান্নামে যাবে তারা হবে- ঝগড়াটে, অবাধ্য ও অহংকারী।; (বুখারি)
এ হাদিসে নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জান্নাতি ও জাহান্নামি লোকের নমুনা তুলে ধরেছেন। যারা জান্নাতি তাদের আচরণ হবে কোমল, নরম, ক্ষমতার অধিকারী হলেও তাদের দেখতে দুর্বল মনে হবে। কথা, কাজ, চলনে তারা দুর্বলের মতো হবে। কারো প্রতি অত্যাচার করবে না। জুলুম করবে না।পক্ষান্তরে যারা জাহান্নামি হবে তাদের নমুনা তুলে ধরে প্রিয় নবি বলেন, প্রথমত তারা হবে ঝগড়াটে। যে কারো সঙ্গে ঝগড়া লেগে যাবে। তারা কারো কোনো কথা শুনবে না বরং সবক্ষেত্রে তারা হবে অবাধ্য। আর সব কাজেই তারা হবে অহংকারী। কোরআন-সুন্নাহর আলোকে এসব বদগুণের অধিকারীরা হবে জাহান্নামি। এ হাদিসে তাই উল্লেখ করা হয়েছে।সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, উল্লেখিত হাদিসের ওপর আমর করা। ঝগড়াটে, অবাধ্যতা ও অহংকারীর গুণ থেকে বিরত থাকা। যারা দুর্বল তাদের সঙ্গে উত্তম আচরণ করা। নিজেকে দুর্বলভেবে দুনিয়াতে চলা ফেরা করা।আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হাদিসের উপর আমল করার তাওফিক দান করুন। দুর্বলতাকে জান্নাতে যাওয়ার উপায় মনে করে চলার তাওফিক দান করুন। ঝগড়াটে, অবাধ্য ও অহংকার থেকে মুক্ত থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।