Islamic News BD - The Lesson of Peace
স্বাগতম মাহে রমজান
শনিবার, ০২ এপ্রিল ২০২২ ২১:৫৮ অপরাহ্ন
Islamic News BD - The Lesson of Peace

Islamic News BD - The Lesson of Peace

রহমত মাগফেরাত আর নাজাতের দশক নিয়ে দুয়ারে কড়া নাড়ছে ১৪৪৩ হিজরির রমজান মাস। ০২ এপ্রিল (শনিবার) দেশের আকাশে চাঁদ দেখা গেলে ০৩ এপ্রিল শুরু হবে পবিত্র রমজান। ইনশাআল্লাহ, আমরা আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে রোজা রাখা শুরু করব।পবিত্র মাহে রমজান আসে আমাদের জন্য অবারিত ইবাদত-বন্দেগির বাড়তি সুযোগ নিয়ে। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আল্লাহর নেক বান্দারা অন্বেষণ করে কীভাবে আল্লাহ পাকের নৈকট্য অর্জন করা যায়। পবিত্র রমজান বড়ই কল্যাণমন্ডিত মাস, দোয়ার মাস।পবিত্র এ রমজানে মুমিন মুত্তাকিদের আধ্যাত্মিক-বাগানে ঘটবে নব-বসন্তের সমারোহ। জান্নাতি আনন্দে মুমিন মুত্তাকির হৃদয়গুলো আলোকিত হয়ে উঠবে। আল্লাহ পাকের পবিত্র বান্দারা জানে, রমজানের রহমতের প্রথম দশকে রহমতের বৃষ্টির পানি দ্বারা তাদেরকে সিক্ত করবেন এবং তাদের তৃষ্ণা মেটাবেন। এ কারণেই আল্লাহ পাকের নেক বান্দারা তার রহমত থেকে কখনো নিরাশ হোন না এবং সামান্য অজুহাত দেখিয়ে রোজা ছেড়ে দেন না। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা মাহে রমজানের গুরুত্ব সম্পর্কে বলেন-
হে যারা ঈমান এনেছো! তোমাদের জন্য সেভাবে রোজা রাখা বিধিবদ্ধ করা হলো, যেভাবে তোমাদের পূর্ববর্তীদের জন্য বিধিবদ্ধ করা হয়েছিল, যেন তোমরা মুত্তাকি হতে পার। (সুরা বাকারা : আয়াত ১৮৩)

এ আয়াত থেকে যে বিষয়টি স্পষ্ট হয় তাহলো- ধর্মীয় অনুষ্ঠান হিসাবে রোজা অর্থাৎ উপবাসব্রত পালন করা কোনো না কোনো আকারে সব ধর্মেই ছিল, আছে। অধিকাংশ ধর্মগুলোতে এবং নিম্ন, মধ্য ও উচ্চ শ্রেণীর কৃষ্টির মধ্যে, উপবাসব্রত একটি সাধারণভাবে নির্দেশিত ব্যাপার। আর যেখানে এই ধরণের নির্দেশ নেই, সেখানেও প্রাকৃতিক প্রয়োজনের তাগিদে অনেকেই উপবাস করে থাকেন।জ্ঞানীগণের অভিজ্ঞতা থেকে যে বিষয়টি জানা যায় তা হলো, আধ্যাত্মিক উন্নতি ও মনের পবিত্রতা সাধনের জন্য শারীরিক সম্পর্কসমূহ কিছুটা ছিন্ন করা এবং সাংসারিক বন্ধন থেকে কিছুটা মুক্তিলাভ করা একান্তই প্রয়োজন। তবে ইসলাম এই উপবাসব্রতের মধ্যে নবরূপ, নব অর্থ ও নবতম আধ্যাত্মিক তাৎপর্য আরোপ করেছে।পবিত্র মাহে রমজানের এই রোজাকে অর্থাৎ উপবাস পালনকে ইসলাম পূর্ণমাত্রার আত্মোৎসর্গ মনে করে থাকে। যিনি রোজা পালন করেন, তিনি যে কেবল শরীর রক্ষাকারী খাদ্য পানীয় থেকেই বিরত থাকেন; তা নয় বরং তিনি সন্তানাদি জন্মদান তথা বংশবৃদ্ধির ক্রিয়াকলাপ থেকেও দূরে থাকেন এবং সব পাপ কাজ থেকেও বিরক থাকেন।তাই যিনি রোজা রাখেন, তিনি তার অসাধারণ আত্মত্যাগের এবং তার প্রস্তুতির কথা আল্লাহ পাককে জানিয়ে দেন আর তার হৃদয় এই ঘোষণাও দেয় যে, আমি কেবলমাত্র আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সন্তুষ্টি লাভের আশায় রোজা রাখছি।