Islamic News BD - The Lesson of Peace
রমজানের রাতে যেসব নামাজ সুন্নত
রবিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২২ ১৬:৫০ অপরাহ্ন
Islamic News BD - The Lesson of Peace

Islamic News BD - The Lesson of Peace

রমজান একটি মাসের নাম। পুরো মাসের দিনগুলো যেভাবে রমজানের অংশ, রাতগুলোও সেভাবে রমজানের অংশ। দিনের ইবাদত হলো সিয়াম আর রাতের ইবাদত হলো কিয়াম। সিয়াম ও কিয়াম দুটিই যথাযথভাবে আদায় করার মাধ্যমে রমজানের দিন ও রাতের আমল পুরো হবে এবং মহান আল্লাহর প্রতিশ্রুত ক্ষমা অর্জন করা সম্ভব হবে, ইনশাআল্লাহ।

দিনের আমল সিয়াম বা রোজার প্রতি যত্নশীল হলেও অনেকের মধ্যে রাতের আমল কিয়ামের ক্ষেত্রে অলসতা পরিলক্ষিত হয়। এখানে কিয়ামুল লাইল নিয়ে আলোচনা করা হলো কিয়ামুল লাইল : কিয়ামুল লাইল অর্থ হলো রাতে দাঁড়ানো। অর্থাৎ রাত জেগে দীর্ঘ কিরাতসহ নামাজ আদায় করা। রাসুলুল্লাহ (সা.) এত দীর্ঘ কিরাতসহ নামাজ আদায় করতেন যে লম্বা সময় দাঁড়িয়ে থাকার কারণে তাঁর পা মোবারক ফুলে যেত। একান্ত মনে নফল নামাজ, মনোযোগের সঙ্গে বিশুদ্ধভাবে কোরআন তিলাওয়াত, অশ্রুবিজড়িত অবস্থায় আল্লাহর কাছে তাওবা, ইস্তিগফার ও ক্ষমা প্রার্থনা ইত্যাদিও কিয়ামুল লাইলের অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। কিয়ামুল লাইলের মর্যাদা : রমজানে কিয়ামুল লাইলের মর্যাদা অপরিসীম। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি রমজান মাসে পূর্ণ বিশ্বাসের সঙ্গে সওয়াবের আশায় কিয়াম করে আল্লাহ তার আগের সব পাপ ক্ষমা করে দেন। (বুখারি, হাদিস : ১৯০৫; মুসলিম, হাদিস : ১৮১৫)

অন্য হাদিসে এসেছে,আ মর ইবনে মুররা আল-জুহানি (রা.) বলেন, এক ব্যক্তি নবী (সা.)-এর কাছে এসে বলল, হে আল্লাহর রাসুল! আমি যদি সাক্ষ্য দিই যে আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই, আপনি আল্লাহর রাসুল, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি, জাকাত আদায় করি, রমজান মাসে রোজা রাখি এবং রাতে কিয়াম করি, তাহলে আমি কাদের অন্তর্ভুক্ত হব? নবী (সা.) বলেন, তুমি সিদ্দিক ও শহীদদের অন্তর্ভুক্ত হবে। (সহিহ ইবনে হিব্বান, হাদিস : ৩৪৩৮)

কিয়ামুল লাইলের সময়সীমা : রাসুলুল্লাহ (সা.) সারা বছর কমপক্ষে রাতের এক-তৃতীয়াংশ জাগরণ করে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করতেন। আল্লাহ বলেন, তোমার রব তো জানেন যে তুমি জাগরণ করো কখনো রাতের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ, কখনো অর্ধাংশ এবং কখনো এক-তৃতীয়াংশ। (সুরা : মুজ্জাম্মিল, আয়াত : ২০)

রমজানে তাঁর জাগরণ আরো বেড়ে যেত। রমজানেও রাতের এক-তৃতীয়াংশ জাগরণ করে নামাজ আদায় করতে না পারা সীমাহীন ব্যর্থতা ছাড়া কিছু নয়। বর্তমানে রাত প্রায় ১০ ঘণ্টা (ভোর ৪:৩০, সন্ধ্যা ৬:৩০)। সে ক্ষেত্রে কমপক্ষে শোয়া তিন ঘণ্টা রাত জাগরণ করে নামাজ আদায় করা বিশেষ ফজিলতপূর্ণ।