জন্মের সঙ্গে সঙ্গে সবচেয়ে বড় অসহায় ছিলেন হজরত মুসা আলাইহিস সালাম। মহান আল্লাহ অত্যাচারী ফেরাউনের ঘরেই তাঁকে আশ্রয় দিয়েছেন। মুসা আলাইহিস সালাম যৌবনে পৌঁছলে ঘটনাক্রমে ফেরাউনের আক্রমণের শিকার হন। তিনি মিসর থেকে হিজরত করেন মাদায়েনে। সেখানে আল্লাহ ছাড়া তাঁর কোনো সহায় নেই। আল্লাহই তাঁর প্রকৃত অভিভাবক। তিনি আল্লাহর কাছে এভাবে আশ্রয় প্রার্থনা করেন-
رَبِّ إِنِّي لِمَا أَنزَلْتَ إِلَيَّ مِنْ خَيْرٍ فَقِيرٌ উচ্চারণ : রাব্বি ইন্নি লিমা আংযালতা ইলাইয়্যা মিন খাইরিং ফাক্বির।
অর্থ : হে আমার রব! তুমি আমার প্রতি যে অনুগ্রহ নাজিল করবেন, আমি তার মুখাপেক্ষী। (সুরা কাসাস : আয়াত ২৪)
মহান রব যে,অসহায়র প্রকৃত সহায় তার দৃষ্টান্ত ওঠে এসেছে ছোট্ট একটি দোয়ায়। আজকের তেলাওয়াতকৃত সুরাগুলোতে দাওয়াত ও তাবলিগের নীতি-পদ্ধতির কথাও তেলাওয়াত করবেন হাফেজে কোরআনগণ। ২০ পারায় পড়া হবে- সুরা নমল-এর কিছু অংশ, সুরা কাসাস এবং সুরা আনকাবুত-এর ৪৪ আয়াত পর্যন্ত।
তিনি সৃষ্টিজগতের কর্তৃত্ব ও পৃথিবীর সুসজ্জিত করার কারিগর। আল্লাহ তাআলা প্রশ্ন রেখে বলেন-
اَمَّنۡ خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضَ وَ اَنۡزَلَ لَکُمۡ مِّنَ السَّمَآءِ مَآءً ۚ فَاَنۡۢبَتۡنَا بِهٖ حَدَآئِقَ ذَاتَ بَهۡجَۃٍ ۚ مَا کَانَ لَکُمۡ اَنۡ تُنۡۢبِتُوۡا شَجَرَهَا ؕ ءَ اِلٰهٌ مَّعَ اللّٰهِ ؕ بَلۡ هُمۡ قَوۡمٌ یَّعۡدِلُوۡنَ
বলুন তো কে সৃষ্টি করেছেন নভোমন্ডল ও ভূমন্ডল? এবং আকাশ থেকে তোমাদের জন্যে বর্ষণ করেছেন পানি; অতপর তা দ্বারা আমি মনোরম বাগান সৃষ্টি করেছি। তার বৃক্ষাদি উৎপন্ন করার শক্তিই তোমাদের নেই। অতএব, আল্লাহর সাথে অন্য কোনো উপাস্য আছে কি? বরং তারা (অবিশ্বাসীরা) সত্যবিচ্যুত সম্প্রদায়। (সুরা নমল : আয়াত ৬০)