Islamic News BD - The Lesson of Peace
হজরত ইবরাহিমের (আ.) কোরবানির পশুর আকৃতি ও নাম
রবিবার, ২৬ জুন ২০২২ ১৪:৫৫ অপরাহ্ন
Islamic News BD - The Lesson of Peace

Islamic News BD - The Lesson of Peace

সব নবির যুগেই কোরবানির বিধান ছিল। তারপরও কোরবানি একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। নিজ সন্তানকে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কোরবানির ঘটনাই এর মর্যাদাকে বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে। হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সাল্লাম আল্লাহর নির্দেশে নিজ সন্তান হজরত ইসমাইল আলাইহিস সালামকে কোরবানি করে তা প্রমাণ করে ছিলেন। কোরবানির ঠিক আগ মুহূর্তে মহান রব হজরত ইসমাইল আলাইহিস সালামের পরিবর্তে একটি পশু দ্বারা কোরবানি সম্পন্ন করান। সেই পশুটির নাম ও আকৃতি দেখতে কেমন ছিল?

ইতিহাসের বিখ্যাত গ্রন্থ আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া এবং তাফসিরের বিখ্যাত গ্রন্থ ইবনে কাসিরে হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালামের কোরবানির পশুর কিছু বর্ণনা ওঠে এসেছে। তাহলো-

১. হজরত হাসান বসরি রহ মাতুল্লাহি আলাইহি বর্ণনা করেন, ইবরাহিম আলাইহিস সালামের জবাই করা জন্তুটির (দুম্বার) নাম ছিলো জারির। যেটি হজরত ইসমাইল আলাইহিস সালামের পরিবর্তে জবাই করা হয়েছিলো।

২. হজরত ইবনে আববাস রাদিয়াল্লাহু আনহু কোরবানির সেই জন্তুটিকে ভেড়া বলে উল্লেখ করেছেন। হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে আস-সাওরি, আব্দুল্লাহ ইবনে উসমান ইবনে খাইসাম ও সাঈদ ইবনে জুবায়ের বর্ণনা করেন যে, এটা ছিল একটি ভেড়া। যা চল্লিশ বছর ধরে জান্নাতে (চড়ে) বেড়িয়েছে। (আল-বিদায়া ওয়ান-নিহায়া)

৩. তাফসিরে ইবনে কাসিরে এ জন্তুটির গঠনগত কিছু ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে। তাহলো-

হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম মিনা প্রান্তরে শয়তানকে কংকর নিক্ষেপ করে সামনে অগ্রসর হয়ে পুত্র হজরত ইসমাইল আলাইহিস সালামকে জবাই করার জন্য শোয়ালেন। সে সময় হজরত ইসমাইল আলাইহিস সালামের শরীর সাদা কাপড় দ্বারা আবৃত ছিল। তিনি তাঁর বাবাকে এ কাপড়টি খুলে নিতে বললেন, যাতে এ কাপড় দ্বারা (জবেহ করার পর) দাফন দেয়া হয়। এ অবস্থায় বাবা হয়ে সন্তানের দেহ অনাবৃত করা অতি বিস্ময়কর (কঠিন) ব্যাপারই বটে।

এমন সময় শব্দ এলো হে ইবরাহিম! তুমি তো স্বপ্নাদেশ সত্যিই পালন করলে তখন তিনি পেছনে ফিরে একটি দুম্বা দেখতে পেলেন, যার শিং ছিল বড় বড় এবং চোখ দুটি ছিল অতি সুন্দর 

জামরায় শয়তানকে কংকর নিক্ষেপ করে কোরবানির স্থানে এসে দুম্বাটি কোরবানি করেন। এ দুম্বার মাথাসহ শিং কাবার দেয়ালে ঝুলিয়ে রাখেন। পরে ওটা শুকিয়ে যায়। ইসলামের আবির্ভাবের পর্যন্ত তা সেখানেই বিদ্যমান ছিল।হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালামের প্রতি নিজ সন্তান হজরত ইসমাইলকে কোরবানির এ নির্দেশ ও উদ্দেশ্য ছিল পিতা-পুত্রের আনুগত্য ও আল্লাহর ভয়ের পরীক্ষামাত্র। সে পরীক্ষায় পিতা-পুত্র যেমন উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। তেমনি তাদের তাকওয়ার পরিচয়ও ফুটে উঠেছিল। কোরবানির ঐতিহাসিক ঘটনার এ শিক্ষা মুসলিম জাতির জন্য খুবই জরুরি।আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে যথাযথ নিয়মে শুধু মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কোরবানি করার তাওফিক দান করুন। আমিন।