যেসব জায়গায় জুমার নামাজ শুদ্ধ হয় নাঅজুর সময় কথা বলা কি নাজায়েজ?কোরআনের চর্চা অব্যাহত রাখা আবশ্যকশাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলতসৌদিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর
No icon

জান্নাতের সবচেয়ে বড় নেয়ামত আল্লাহর দর্শন লাভ

জান্নাতের সবচেয়ে বড় নেয়ামত হবে আল্লাহর দিদার বা দর্শন লাভ। সুহাইব রুমী রা. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, জান্নাতিরা যখন জান্নাতে প্রবেশ করবে তখন আল্লাহ তাআলা বলবেন, তোমরা আমার কাছে আরো কিছু চাও?

জান্নাতিরা বলবে, আপনি কি আমাদের চেহারা উজ্জ্বল ও জ্যোতির্ময় করে দেননি? আপনি কি আমাদেরকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করাননি?

তখন আল্লাহ পর্দা উঠিয়ে দেবেন। জান্নাতিরা অনুভব করবে আল্লাহর দিদার বা দর্শন লাভের চেয়ে প্রিয় কোনো নেয়ামত তাদের দেওয়া হয়নি। (সহিহ মুসলিম: ১৮১)

কোরআনেও আখেরাতে মুমিনরা আল্লাহর দর্শন লাভ করবে বলে সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ বলেছেন,

وُجُوْهٌ يَّوْمَىِٕذٍ نَّاضِرَةٌ اِلٰى رَبِّهَا نَاظِرَةٌ.

সেদিন অনেক চেহারা সজীব ও হাস্যোজ্জ্বল হবে। তারা তাদের প্রতিপালকের দিকে তাকিয়ে থাকবে। (সুরা কিয়ামাহ: ২২, ২৩)

দুনিয়াতে যেমন সব মানুষ বিনা বাঁধায় সব জায়গা থেকে স্পষ্টভাবে চাঁদ ও সূর্য দেখতে পায়, জান্নাতিরাও কোনো অসুবিধা বা প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই আল্লাহকে স্পষ্ট দেখতে পাবে। জারির ইবন আব্দুল্লাহ (রা.) বলেন, আমরা একদিন রাসুলুল্লাহর (সা.) কাছে ছিলাম। রাতটি ছিল পূর্ণিমার রাত। তিনি চাঁদের দিকে তাকিয়ে বললেন, তোমরা যেভাবে এ চাঁদ দেখছ, কোনো রকম অসুবিধা হচ্ছে না, সেভাবেই তোমরা তোমাদের রবকে দেখবে। (সহিহ বুখারি)

আরেকটি বর্ণনায় আবু সাইদ খুদরি (রা.) বলেন, আমরা একদিন আল্লাহর রাসুলকে (সা.) বললাম, হে আল্লাহর রাসুল, আমরা কি কেয়ামাতের দিন আমাদের রবকে দেখবো? তিনি বললেন, আকাশ পরিষ্কার থাকলে সূর্য বা চাঁদ দেখতে কি তোমাদের কোনো কষ্ট হয়? আমরা বললাম, না। তিনি বললেন, সেদিন তোমাদের রবকে দেখতে তোমাদের কোনো কষ্ট বা অসুবিধা হবে না, ঠিক যেমন চাঁদ ও সূর্য দেখতে অসুবিধা হয় না। (সহিহ বুখারি)