নামাজের সময় নারীদের মুখমণ্ডল, কবজি পর্যন্ত দুই হাত ও টাখনু পর্যন্ত পা ছাড়া পূর্ণ শরীর ঢেকে রাখা ফরজ। এটা সব অবস্থায়ই ফরজ। অন্যদের সামনে নামাজ আদায়ের সময় যেমন ফরজ, একা ঘরে নির্জনে নামাজ আদায়ের সময়ও
যে ব্যক্তির কাজা নামাজের সংখ্যা ছয় ওয়াক্তের কম, তার জন্য সেগুলো আদায়ের ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা রক্ষা করা ওয়াজিব। অর্থাৎ কাজা নামাজগুলোর মধ্যে প্রথম কাজা হওয়া নামাজটি তিনি প্রথম আদায় করবেন, তারপর দ্বিতীয় নামাজ, তারপর তৃতীয় নামাজ।
১. নামাজের রুকু, সিজদা, বৈঠক ইত্যাদি ঠিকঠাক মতো আদায় করা। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, ‘জনৈক গ্রাম্য সাহাবি নবী কারিম (সা.)-এর নিকটে এসে তাড়াহুড়া করে নামাজ আদায় করছিলেন- রুকু, সিজদা ও বৈঠকাদি ঠিকমতো আদায় করেননি। নবীজি তাকে
খুশু-খুজু বা বিনয় ও নম্রতা হচ্ছে নামাজের প্রাণ। নামাজের যাবতীয় ফজিলত, প্রভাব ও উপকারিতা এই খুশু-খুজুর সাথেই সম্পৃক্ত। খুশু-খুজুর সাথে নামাজ আদায় করলে তা সতেজ ও প্রাণবন্ত হয়। আর খুশু-খুজুবিহীন নামাজ প্রাণহীন-আত্মাহীন লাশের মতো। তাই
ঘুমিয়ে থাকা, ভুলে যাওয়া বা কোনো অসুবিধার কারণে কোনো ওয়াক্তের নামাজ আদায় করতে না পারলে ওই নামাজ পরবর্তীতে আদায় করাকে কাজা নামাজ বলা হয়। ফরজ কিংবা ওয়াজিব নামাজ ছুটে গেলে তার কাজা আদায় করা আবশ্যক।
ফরজ নামাজে এক রাকাতে সুরা ফাতেহার পর একাধিক সুরা পড়া যায়, তাতে নামাজের কোনো ক্ষতি হয় না। কোনো কোনো সাহাবি এভাবে কেরাত পড়তেন বলে বর্ণিত রয়েছে। যেমন আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি
প্রতিটি মানুষ সফলতা চায় এবং তা অর্জনে হাজারো চেষ্টা করে। কিন্তু প্রকৃত সফলতা কী এবং তা কিভাবে অর্জিত হয় তা অনেকের অজানা। সফলতার অর্থ প্রত্যেক মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হওয়া এবং জীবন থেকে সকল দুঃখ-কষ্ট দূর হওয়া।
নামাজ মুমিন ও কাফিরের মধ্যে পার্থক্যকারী। আর এই ইবাদত পালনের অন্যতম স্থান হলো মসজিদ, যা পৃথিবীর মধ্যে আল্লাহর কাছে সবচেয়ে পছন্দের জায়গা। নবীজি (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর কাছে সর্বোত্তম জায়গা মসজিদ, আর সর্বনিকৃষ্ট জায়গা বাজার।’ (মুসলিম,