নামাজের বাইরে সাধারণ অবস্থায় হাঁচি দেওয়ার পর আলহামদুলিল্লাহ বলা মুস্তাহাব। হাদিসে হাঁচি দেওয়ার পর আলহামদুলিল্লাহ পড়া এবং তার জবাব দেওয়ার নির্দেশনা এসেছে। আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন,
إِذَا عَطسَ أحَدُكُمْ
মহান আল্লাহ মানুষকে ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করতে বলেছেন। এখন প্রশ্ন হলো, নামাজের ভেতর নির্ধারিত দোয়ার বাইরে অন্য কোনো দোয়া করা যাবে বা আল্লাহর কাছে কোনো কিছু চাওয়া যাবে?
নামাজে দোয়া করার বিধান, কয়েকটি
নামাজ পড়তে গিয়ে অনেক সময় মন এলোমেলো হয়ে যায়। মনোযোগ সরে যায় রাকাত সংখ্যা থেকে। সন্দেহ তৈরি হয় এখন যে রাকাতে আছি তা দ্বিতীয়, তৃতীয় নাকি শেষ রাকাত। কারো কারো ক্ষেত্রে এমনটি প্রায় হয়ে থাকে,
নামাজের সময় নারীদের মুখমণ্ডল, কবজি পর্যন্ত দুই হাত ও টাখনু পর্যন্ত পা ছাড়া পূর্ণ শরীর ঢেকে রাখা ফরজ। এটা সব অবস্থায়ই ফরজ। অন্যদের সামনে নামাজ আদায়ের সময় যেমন ফরজ, একা ঘরে নির্জনে নামাজ আদায়ের সময়ও
যে ব্যক্তির কাজা নামাজের সংখ্যা ছয় ওয়াক্তের কম, তার জন্য সেগুলো আদায়ের ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা রক্ষা করা ওয়াজিব। অর্থাৎ কাজা নামাজগুলোর মধ্যে প্রথম কাজা হওয়া নামাজটি তিনি প্রথম আদায় করবেন, তারপর দ্বিতীয় নামাজ, তারপর তৃতীয় নামাজ।
১. নামাজের রুকু, সিজদা, বৈঠক ইত্যাদি ঠিকঠাক মতো আদায় করা। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, ‘জনৈক গ্রাম্য সাহাবি নবী কারিম (সা.)-এর নিকটে এসে তাড়াহুড়া করে নামাজ আদায় করছিলেন- রুকু, সিজদা ও বৈঠকাদি ঠিকমতো আদায় করেননি। নবীজি তাকে
খুশু-খুজু বা বিনয় ও নম্রতা হচ্ছে নামাজের প্রাণ। নামাজের যাবতীয় ফজিলত, প্রভাব ও উপকারিতা এই খুশু-খুজুর সাথেই সম্পৃক্ত। খুশু-খুজুর সাথে নামাজ আদায় করলে তা সতেজ ও প্রাণবন্ত হয়। আর খুশু-খুজুবিহীন নামাজ প্রাণহীন-আত্মাহীন লাশের মতো। তাই
ঘুমিয়ে থাকা, ভুলে যাওয়া বা কোনো অসুবিধার কারণে কোনো ওয়াক্তের নামাজ আদায় করতে না পারলে ওই নামাজ পরবর্তীতে আদায় করাকে কাজা নামাজ বলা হয়। ফরজ কিংবা ওয়াজিব নামাজ ছুটে গেলে তার কাজা আদায় করা আবশ্যক।