সব নামাজেই নামাজে প্রতি রাকাতে দুটি সিজদা দিতে হয়। কেউ যদি নামাজের কোনো রাকাতে ভুল করে তিন বার সেজদা করে, তাহলে তার ওপর সাহু সিজদা দেওয়া ওয়াজিব হবে। সাহু সিজদা দিলে নামাজ শুদ্ধ হয়ে যাবে।
কোনো বিশেষ অসুবিধা ছাড়া মধ্যরাতের পর ইশার নামাজ আদায় করা মাকরুহ। ইশার নামাজ রাতের প্রথম এক তৃতীয়াংশের মধ্যে আদায় করে নেওয়া উত্তম। প্রথম এক তৃতীয়াংশের মধ্যে পড়তে না পারলেও মধ্যরাতের আগে পড়ে নিলে তা মাকরুহ
শীতের সময় বারবার অজু করা থেকে বাঁচতে অনেকে এক নামাজের অজু দিয়ে আরেক নামাজ পড়তে চান। অনেক সময় প্রস্রাবের চাপ নিয়েই নামাজ পড়েন। শরিয়তের দৃষ্টিতে এটা মাকরুহ তাহরিমি। পায়খানা বা বায়ুর চাপ নিয়ে নামাজ পড়াও
আরবি আওয়াব শব্দের অর্থ এমন ব্যক্তি যে বার বার আল্লাহকে স্মরণ করে, আল্লাহর দিকে ফেরে বা তওবা করে। আওয়াবের বহুবচন আওয়াবিন । সালাতুল আওয়াবিন অর্থ আল্লাহকে অধিক স্মরণকারীদের নামাজ।
যায়েদ ইবনে আরকাম (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে
যে ব্যক্তির পেছনের কোনো নামায কাজা নেই তার যদি কোনো ওয়াক্তের নামাজ কাজা হয়ে যায়, তার জন্য পরবর্তী ওয়াক্তের নামাজ পড়ার আগে ওই কাজা নামাজ আদায় করা জরুরি। কাজা নামাজের কথা স্মরণ থাকা সত্ত্বেও যদি
মানবসমাজকে একটি সুশৃঙ্খল নিয়ম-নীতির আওতায় আনার জন্যই রাষ্ট্র প্রয়োজন। আর এ কথা সুস্পষ্ট যে রাষ্ট্রের পক্ষে শুধু বল প্রয়োগ করে মানুষকে নিয়ম-নীতির আওতায় আনা সম্ভব নয়। এর জন্য প্রয়োজন তাদের মানসিকভাবে প্রশিক্ষণ। আর এর সবচেয়ে
জুমার দিন খুতবার আগেই মসজিদে চলে যাওয়া উচিত। জুমার আজানের পর দুনিয়াবি কাজকর্ম করার ব্যাপারে কোরআনে নিষেধাজ্ঞা এসেছে। দ্রুত মসজিদে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ বলেন,
یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اِذَا نُوۡدِیَ لِلصَّلٰوۃِ مِنۡ یَّوۡمِ الۡجُمُعَۃِ فَاسۡعَوۡا
নামাজে কেরাত অর্থাৎ কোরআন থেকে কিছু আয়াত পড়া ফরজ। আল্লাহ নামাজে কোরআন পড়ার নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, فَاقۡرَءُوۡا مَا تَیَسَّرَ مِنَ الۡقُرۡاٰنِ তোমরা কোরআন থেকে যতটুকু সহজ হয় ততটুকু পড়। (সুরা মুজ্জাম্মিল: ২০)
নামাজে প্রতি রাকাতে কেরাত পড়া ফরজ।