যে ব্যক্তির পেছনের কোনো নামায কাজা নেই তার যদি কোনো ওয়াক্তের নামাজ কাজা হয়ে যায়, তার জন্য পরবর্তী ওয়াক্তের নামাজ পড়ার আগে ওই কাজা নামাজ আদায় করা জরুরি। কাজা নামাজের কথা স্মরণ থাকা সত্ত্বেও যদি
মানবসমাজকে একটি সুশৃঙ্খল নিয়ম-নীতির আওতায় আনার জন্যই রাষ্ট্র প্রয়োজন। আর এ কথা সুস্পষ্ট যে রাষ্ট্রের পক্ষে শুধু বল প্রয়োগ করে মানুষকে নিয়ম-নীতির আওতায় আনা সম্ভব নয়। এর জন্য প্রয়োজন তাদের মানসিকভাবে প্রশিক্ষণ। আর এর সবচেয়ে
জুমার দিন খুতবার আগেই মসজিদে চলে যাওয়া উচিত। জুমার আজানের পর দুনিয়াবি কাজকর্ম করার ব্যাপারে কোরআনে নিষেধাজ্ঞা এসেছে। দ্রুত মসজিদে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ বলেন,
یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اِذَا نُوۡدِیَ لِلصَّلٰوۃِ مِنۡ یَّوۡمِ الۡجُمُعَۃِ فَاسۡعَوۡا
নামাজে কেরাত অর্থাৎ কোরআন থেকে কিছু আয়াত পড়া ফরজ। আল্লাহ নামাজে কোরআন পড়ার নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, فَاقۡرَءُوۡا مَا تَیَسَّرَ مِنَ الۡقُرۡاٰنِ তোমরা কোরআন থেকে যতটুকু সহজ হয় ততটুকু পড়। (সুরা মুজ্জাম্মিল: ২০)
নামাজে প্রতি রাকাতে কেরাত পড়া ফরজ।
জানাজার নামাজ যেহেতু মসজিদের বাইরে পড়ার নিয়ম, তাই জানাজার নামাজে অনেক সময় মসজিদের বাইরে রাস্তায় দাঁড়ানোর প্রয়োজন পড়ে। এ সময় মুসল্লিরা জুতো পরে নামাজে দাঁড়াবেন, জুতো খুলে তার ওপর দাঁড়াবেন নাকি জুতো পাশে রেখে মাটিতে
আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, কোনো গুনাহ করে ফেলার পর যদি কোনো বান্দা অজু করে দুরাকাত নামাজ পড়ে এবং আল্লাহর কাছে গুনাহের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে, তাহলে নিশ্চয়ই আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেবেন।
নামাজে প্রতি রাকাতে রুকু করা নামাজের রোকন বা ফরজ। রুকু ছাড়া রাকাত পূর্ণ হয় না। রুকু না করে সিজদা করলে ওই সিজদাও শুদ্ধ হয় না। কেউ যদি কোনো রাকাতে রুকু না করেই সিজদায় চলে যায়,
নারী-পুরুষের নামাজ আদায়ের ধরনে পার্থক্য আছে কি না এ নিয়ে ওলামায়ে কেরামের মধ্যে দুরকম মতামত রয়েছে। অনেক আলেমদের মতে নারী পুরুষের নামাজে কোনো পার্থক্য নেই। যেহেতু নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নারী-পুরুষ নির্বিশেষ সব উম্মতকে