মুসাফিরের জন্য চার রাকাত বিশিষ্ট ফরজ নামাজগুলো অর্থাৎ জোহর, আসর ও ইশার ফরজ নামাজ কসর করা বা সংক্ষীপ্ত করে দুই রাকাত পড়া জরুরি। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন,
فَرَضَ اللهُ الصَّلَاةَ عَلَى لِسَانِ نَبِيِّكُمْ صَلَّى اللهُ
নারীদের জুমার জামাতে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। রাসুলের (সা.) যুগে নারীরা রাসুলের (সা.) পেছনে জুমার নামাজ আদায় করতেন। তবে ইসলামে জুমার নামাজ ওয়াজিব হওয়ার জন্য পুরুষ হওয়া শর্ত। জুমার নামাজ নারীদের জন্য ওয়াজিব নয়।
১. হাদিসে উল্লিখিত ১২ রাকাত নামাজ আমাদের কাছে সুন্নাতে মুআক্কাদা নামে পরিচিত। সুনানে তিরমিজির বর্ণনায় বিস্তারিত উল্লিখিত রয়েছে ওই ১২ রাকাত নামাজ কখন কীভাবে আদায় করতে হবে। নবিজি (সা.) বলেছেন,
أَرْبَعًا قَبْلَ الظُّهْرِ وَرَكْعَتَيْنِ بَعْدَهَا وَرَكْعَتَيْنِ
ফরজ নামাজের পাশাপাশি নবিজি (সা.) ও তার সাহাবিরা নিয়মিত ১২ রাকাত নফল নামাজ পড়তেন। যে নামাজকে আমরা সুন্নাতে মুআক্কাদা বলে থাকি। প্রতিদিন ১২ রাকাত নফল নামাজের ফজিলত বর্ণনা করে রাসুল সা. বলেছেন, مَنْ صَلَّى اثْنَتَيْ عَشْرَةَ
জুমার নামাজের শেষ বৈঠক পেলে অর্থাৎ ইমাম সালাম ফেরানো আগে জামাতে শরিক হতে পারলে ইমাম আবু হানিফার (রহ.) মতে সেটা জুমা গণ্য হবে। তাই ইমামের সালাম ফেরানোর আগে কেউ মসজিদে উপস্থিত হতে পারলে সে জুমার
আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) একদিন মসজিদে ঢুকলেন, তখন একজন সাহাবি এসে নামাজ আদায় করলেন। তারপর তিনি এসে নবিজিকে (সা.) সালাম করলেন। নবিজি সালামের জবাব দিয়ে বললেন, আবার গিয়ে নামাজ আদায় করো, তুমি
জুমা অর্থ সম্মিলন বা জমায়েত। জুমা শুদ্ধ হওয়ার অন্যতম শর্ত হলো কিছু সংখ্যাক মানুষের জমায়েত। কিছু সংখ্যাক মানুষ একসাথে জামাতবদ্ধ হয়েই জুমার নামাজ আদায় করতে হয়। পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ একা আদায় করা গেলেও জুমার
রাসুল (সা.) বলেন, مَنْ تَطَهَّرَ فِي بَيْتِهِ ثُمَّ مَشَى إِلَى بَيْتٍ مِنْ بُيُوتِ اللَّهِ لِيَقْضِيَ فَرِيضَةً مِنْ فَرَائِضِ اللَّهِ كَانَتْ خَطْوَتَاهُ إِحْدَاهُمَا تَحُطُّ خَطِيئَةً وَالأُخْرَى تَرْفَعُ دَرَجَةً
যে ব্যক্তি ঘরে পবিত্রতা অর্জন করল, তারপর ফরজ নামাজ