কোরআনের চর্চা অব্যাহত রাখা আবশ্যকশাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলতসৌদিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতরবৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল ফিতরপবিত্র কাবা শরীফ থেকে তিন কিলোমিটার দূর গেলো তারাবির নামাজের কাতার
No icon

নামাজের কেরাতে সুরার ধারাবাহিকতা রক্ষা করা কি জরুরি?

নামাজে কেরাত অর্থাৎ কোরআন থেকে কিছু আয়াত পড়া ফরজ। আল্লাহ নামাজে কোরআন পড়ার নির্দেশ দিয়ে বলেছেন,
فَاقۡرَءُوۡا مَا تَیَسَّرَ مِنَ الۡقُرۡاٰنِ
তোমরা কোরআন থেকে যতটুকু সহজ হয় ততটুকু পড়। (সুরা মুজ্জাম্মিল: ২০)

নামাজে প্রতি রাকাতে কেরাত পড়া ফরজ। সুরা ফাতেহা পড়া ও সুরা মেলানো ওয়াজিব। সামর্থ্য থাকার পরও কেউ যদি কোনো রাকাতে কুরআন থেকে কিছুই না পড়ে, তাহলে ওই রাকাতটি পূর্ণ হবে না। ভুল করে সুরা ফাতেহা বা ফাতেহা-পরবর্তী কেরাত না পড়লে সাহু সিজদা দিতে হবে। সাহু সিজদা না দিলে নামাজ আবার পড়া ওয়াজিব হবে।

ফরজ নামাজে সুরা ফাতেহার পর যে কেরাত পড়া হয়, তাতে কোরআনের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা উচিত, ধারাবাহিকতা রক্ষা না করা মাকরুহ।

কেরাতে কোরআনের ধারাবাহিকতা দুভাবে নষ্ট হতে পারে:

১. সুরা আগে পরে পড়া

সুরা ফাতেহা পড়ার পর প্রথম রাকাতে যে সুরা পড়া হয়েছে, পরের রাকাতে তার পরবর্তী কোনো সুরা পড়া উচিত। প্রথম রাকাতে এক সুরা পড়ে পরের রাকাতে ওই সুরার আগের কোনো সুরা পড়া মাকরুহ। যেমন প্রথম রাকাতে সুরা ফিল পড়ার পর দ্বিতীয় রাকাতে সুরা হুমাজাহ পড়া মাকরুহ। কারণ এতে কোরআনের সুরার ধারাবাহিকতা পাল্টে দেয়া হয়। (দুররুল মুখতার)

২. এক সুরা বাদ দিয়ে পড়া

এক সুরা পড়ার পর মাঝখানে এক সুরা বাদ দিয়ে পরের সুরা পড়া মাকরুহ। তবে দুই সুরা বাদ দিয়ে পরের সুরা পড়লে সমস্যা নেই। যেমন-প্রথম রাকাতে সুরা ফিল পড়ার পর দ্বিতীয় রাকাতে সুরা কুরাইশ বাদ দিয়ে সুরা মাউন পড়া মাকরুহ। কিন্তু সুরা কাউসার বা কাফিরুন বা এর পরের সুরাগুলো পড়লে সমস্যা নেই। (দুররুল মুখতার, শামি)

নফল নামাজে কোরআনের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা জরুরি নয়। ফরয-ওয়াজিব নামাজেও ভুলে ধারাবাহিকতা নষ্ট হলে নামাজ মাকরুহ হবে না। কেউ যদি ফরজ নামাজে ইচ্ছাকৃত কেরাতের ধারাবাহিকতা রক্ষা না করে, তাহলেও নামাজ নষ্ট হবে না বা সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে না। তবে এটা মাকরুহ কাজ হবে।