ফজরের দুরাকাত সুন্নাত নামাজ প্রতিদিনের সুন্নাতে মুআক্কাদা নামাজসমূহের অন্তর্ভুক্ত যা রাসুল (সা.) নিয়মিত পড়তেন। হজরত আয়েশা (রা.) বলেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জোহরের আগে ৪ রাকাত এবং ফজরের আগে ২ রাকাত সুন্নাত নামাজ কখনো
যথাসম্ভব জামাতের সঙ্গে আদায় করার আপ্রাণ চেষ্টা করা। কেননা নবীজি (সা.) বলেছেন, কোনো ব্যক্তির জামাতে নামাজের সওয়াব তার নিজের ঘরে ও বাজারে আদায়কৃত নামাজের সওয়াবের চেয়ে ২৫ গুণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়। (বুখারি, হাদিস :
মুসাফিরের জন্য চার রাকাত বিশিষ্ট ফরজ নামাজগুলো অর্থাৎ জোহর, আসর ও ইশার ফরজ নামাজ কসর করা বা সংক্ষীপ্ত করে দুই রাকাত পড়া জরুরি। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন,
فَرَضَ اللهُ الصَّلَاةَ عَلَى لِسَانِ نَبِيِّكُمْ صَلَّى اللهُ
নারীদের জুমার জামাতে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। রাসুলের (সা.) যুগে নারীরা রাসুলের (সা.) পেছনে জুমার নামাজ আদায় করতেন। তবে ইসলামে জুমার নামাজ ওয়াজিব হওয়ার জন্য পুরুষ হওয়া শর্ত। জুমার নামাজ নারীদের জন্য ওয়াজিব নয়।
১. হাদিসে উল্লিখিত ১২ রাকাত নামাজ আমাদের কাছে সুন্নাতে মুআক্কাদা নামে পরিচিত। সুনানে তিরমিজির বর্ণনায় বিস্তারিত উল্লিখিত রয়েছে ওই ১২ রাকাত নামাজ কখন কীভাবে আদায় করতে হবে। নবিজি (সা.) বলেছেন,
أَرْبَعًا قَبْلَ الظُّهْرِ وَرَكْعَتَيْنِ بَعْدَهَا وَرَكْعَتَيْنِ
ফরজ নামাজের পাশাপাশি নবিজি (সা.) ও তার সাহাবিরা নিয়মিত ১২ রাকাত নফল নামাজ পড়তেন। যে নামাজকে আমরা সুন্নাতে মুআক্কাদা বলে থাকি। প্রতিদিন ১২ রাকাত নফল নামাজের ফজিলত বর্ণনা করে রাসুল সা. বলেছেন, مَنْ صَلَّى اثْنَتَيْ عَشْرَةَ
জুমার নামাজের শেষ বৈঠক পেলে অর্থাৎ ইমাম সালাম ফেরানো আগে জামাতে শরিক হতে পারলে ইমাম আবু হানিফার (রহ.) মতে সেটা জুমা গণ্য হবে। তাই ইমামের সালাম ফেরানোর আগে কেউ মসজিদে উপস্থিত হতে পারলে সে জুমার
আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) একদিন মসজিদে ঢুকলেন, তখন একজন সাহাবি এসে নামাজ আদায় করলেন। তারপর তিনি এসে নবিজিকে (সা.) সালাম করলেন। নবিজি সালামের জবাব দিয়ে বললেন, আবার গিয়ে নামাজ আদায় করো, তুমি