মানুষ যতো ব্যস্তই থাকুক, তাকে দিন ও রাতে পাঁচবার আল্লাহ দরবারে হাজিরা দেওয়ার সময় অবশ্যই বের করতে হবে। কেননা আল্লাহ তায়ালা মানুষের ওপর প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছেন। কিন্তু কীভাবে নামাজে নিয়মিত হতে হবে?
নামাজ
ইচ্ছাকৃতভাবে ফরজ নামাজ ছেড়ে দিলে আল্লাহর জিম্মাদারি থেকে বেরিয়ে যায়। সব কিছু হারিয়ে ফেলে। মহান আল্লাহ ওই ব্যক্তির ওপর থেকে তার জিম্মাদারি বা রক্ষণাবেক্ষণ তুলে নেন। হাদিসে পাকে এসেছে-
হজরত মুআজ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
নামাজ বা যে কোনও ইবাদতের আগে প্রস্রাবের বেগ পেলে কেউ কেউ নতুন করে ওজু করতে অলসতার কারণে তা চেপে রাখেন। এক্ষেত্রে অনেকেই প্রস্রাবে বিলম্ব করেন এবং প্রস্রাবের চাপ রেখেই নামাজে দাঁড়িয়ে যান। এ সম্পর্কে ইসলাম
সফরের সময় ৪ রাকাত ফরয (যোহর+আসর+ইশা) নামায ২ রাকাত পড়তে হয়, কিন্তু ২/৩ রাকাত ফরয নামায ২/৩ রাকাতই পড়তে হয়। একে নামায “কসর” বা সংক্ষিপ্ত করা বলা হয়।
আর রাসুলুল্লাহ (সাঃ) সফরে থাকা অবস্থায়
উত্তম আমল কোনটি? এমন প্রশ্নের জবাবে নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ওয়াক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নামাজ পড়া অর্থাৎ প্রথম ওয়াক্তে নামাজ আদায় করাই হলো সর্বোত্তম আমল। তারপরও বিভিন্ন কারণে মানুষের নামাজ ছুটে যায়। নামাজ
আমাদের দেশে বলতে গেলে ভারতীয় উপমহাদেশে পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের পর দুআ-মুনাজাতের প্রচলন দেখা যায়। পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ সালাত শেষে দুআ কবুল হওয়ার কথা বহু সহীহ হাদীস থেকে প্রমাণিত। তাহলে এ নিয়ে বিতর্ক কেন? আসলে পাঁচ
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেভাবে সালাত আদায় করেছেন ঠিক সেভাবে সালাত করাই সালাতের বিশুদ্ধ পদ্ধতি। মালেক ইব্ন হুয়াইরিস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
“তোমরা আমাকে যেভাবে সালাত আদায় করতে দেখ, সেভাবে
নিশ্চয় এই বিষয়টি অত্যন্ত জ্ঞানপূর্ণ বিষয়সমূহের মধ্য থেকে অন্যতম বড় একটি বিষয়, যার ব্যাপারে পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সকল যুগের আলেমগণ বিতর্ক বা মতবিরোধ করেছেন; ইমাম আহমদ ইবন হাম্বল র. বলেন:
“সালাত বর্জনকারী মুসলিম মিল্লাত