আল্লাহ তাঁর বান্দার জন্য বিভিন্ন ধরনের ইবাদত প্রবর্তন করেছেন। এতে করে তারা যেমন বহুমুখী ইবাদত করে বেশি বেশি পুণ্য অর্জন করবে, তেমনি এক ধরনের ইবাদতে একঘেয়েমি লাগলে অন্য ধরনের ইবাদতে সাগ্রহে মনোনিবেশ করতে পারবে। এসব
রমজানে কিয়ামুল লাইল আদায়ে রাসূলুল্লাহ সা: অন্য সময়ের থেকে অধিক তাগিদ দিয়েছেন। হজরত আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসূলুল্লাহ সা: বলেছেন, যে ব্যক্তি রমজান মাসে ঈমানের সাথে সওয়াবের নিয়তে সালাত পড়বে তার পূর্ববর্তী সব
মু’মিনজীবনে ঈমানের পর আবশ্যকীয় বিধান হলো পাঁচ ওয়াক্ত সালাত। এই পাঁচ ওয়াক্ত সালাত পুরুষদের জন্য পদ্ধতিগত বিধান হলো জামাতে আদায় করা। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন- ‘তোমরা রুকুকারীদের সাথে রুকু করো’ তথা জামাতে সালাত আদায় করো।
মানুষ যতো ব্যস্তই থাকুক, তাকে দিন ও রাতে পাঁচবার আল্লাহ দরবারে হাজিরা দেওয়ার সময় অবশ্যই বের করতে হবে। কেননা আল্লাহ তায়ালা মানুষের ওপর প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছেন। কিন্তু কীভাবে নামাজে নিয়মিত হতে হবে?
নামাজ
ইচ্ছাকৃতভাবে ফরজ নামাজ ছেড়ে দিলে আল্লাহর জিম্মাদারি থেকে বেরিয়ে যায়। সব কিছু হারিয়ে ফেলে। মহান আল্লাহ ওই ব্যক্তির ওপর থেকে তার জিম্মাদারি বা রক্ষণাবেক্ষণ তুলে নেন। হাদিসে পাকে এসেছে-
হজরত মুআজ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
নামাজ বা যে কোনও ইবাদতের আগে প্রস্রাবের বেগ পেলে কেউ কেউ নতুন করে ওজু করতে অলসতার কারণে তা চেপে রাখেন। এক্ষেত্রে অনেকেই প্রস্রাবে বিলম্ব করেন এবং প্রস্রাবের চাপ রেখেই নামাজে দাঁড়িয়ে যান। এ সম্পর্কে ইসলাম
সফরের সময় ৪ রাকাত ফরয (যোহর+আসর+ইশা) নামায ২ রাকাত পড়তে হয়, কিন্তু ২/৩ রাকাত ফরয নামায ২/৩ রাকাতই পড়তে হয়। একে নামায “কসর” বা সংক্ষিপ্ত করা বলা হয়।
আর রাসুলুল্লাহ (সাঃ) সফরে থাকা অবস্থায়
উত্তম আমল কোনটি? এমন প্রশ্নের জবাবে নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ওয়াক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নামাজ পড়া অর্থাৎ প্রথম ওয়াক্তে নামাজ আদায় করাই হলো সর্বোত্তম আমল। তারপরও বিভিন্ন কারণে মানুষের নামাজ ছুটে যায়। নামাজ