কোরআনের চর্চা অব্যাহত রাখা আবশ্যকশাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলতসৌদিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতরবৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল ফিতরপবিত্র কাবা শরীফ থেকে তিন কিলোমিটার দূর গেলো তারাবির নামাজের কাতার
No icon

অক্ষম ব্যক্তিরা নামাজ পড়বেন কীভাবে?

নামাজ শুদ্ধ হওয়ার জন্য আরকান-আহকামগুলো যথাযথভাবে মেনে চলা জরুরি। যেমন- নামাজের জন্য দাঁড়ানো, রুক করা ও সেজদা দেওয়া ইত্যাদি। কিন্তু কেউ যদি দাঁড়াতে অক্ষম হয় কিংবা রুকু সেজদা করতে না পারে তবে কি তার জন্য নামাজে রুখসত আছে?

না দাঁড়াতে না পারলেও নামাজ মাফ নেই। বরং বসে কিংবা শুয়ে হলেও নামাজ পড়তে হবে। ইশারায় হলেও রুকু ও সেজদা আদায় করতে হবে। অক্ষম ব্যক্তিকে যদি কেবলামুখী হতে হয় তবে তাকে পশ্চিম দিকে পা দিয়ে বসতে কিংবা শুয়ে পড়তে হবে। সেক্ষেত্রে পশ্চিম দিকে পা দিয়ে বসা বা শোয়া কতটুকু যুক্তিযুক্ত হবে?

নামাজের ভেতরের দ্বিতীয় শর্ত হলো দাঁড়ানো। যদি দাঁড়াতে অক্ষম হয় তবে বসে বসে নামাজ পড়বে। যদি বসে পড়তে অক্ষম হয় তবে শুয়ে নামাজ আদায় করবে। অর্থাৎ যতক্ষণ জ্ঞান আছে ততক্ষণ নামাজের হুকুম থেকে কেউ বাদ যাবে না। চাই তা দাঁড়িয়ে, বসে কিংবা শুয়ে হোক।

তাই দাঁড়িয়ে নামাজ পড়তে অক্ষম ব্যক্তির জন্য বসে কিংবা শুয়ে নামাজ আদায় করা বৈধ। অক্ষম ব্যক্তি কোন দিকে পা দিয়ে নামাজ পড়লেন, সেটি হুকুম নয়, বরং নামাজ আদায় করা হুকুম। আর তাতে অক্ষম ব্যক্তির যদি পশ্চিম দিকে পা দিতে হয় তবে তা নামাজের ক্ষেত্রে অক্ষম ব্যক্তির জন্য বৈধ।ইসলামিক স্কলার ও ফিকহ শাস্ত্র মতে, অক্ষম ব্যক্তি ছাড়া কারো জন্যই কেবলার দিকে জাগ্রত অবস্থায় পা দিয়ে বসা, শোয়া বৈধ নয়। ফিকহের পরিভাষায় তা মাকরূহ

সুতরাং ইসলামের অন্যতম ইবাদত নামাজ প্রত্যেক জ্ঞানবান সুস্থ ও অসুস্থ ব্যক্তিকে আদায় করতে হবে। কোনোভাবেই তা তরক করা যাবে না।আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ সময়মতো আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।