কোরআনের চর্চা অব্যাহত রাখা আবশ্যকশাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলতসৌদিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতরবৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল ফিতরপবিত্র কাবা শরীফ থেকে তিন কিলোমিটার দূর গেলো তারাবির নামাজের কাতার
No icon

জুমার জামাতের শেষ বৈঠক পেলে কি জুমা হবে?

জুমার নামাজের শেষ বৈঠক পেলে অর্থাৎ ইমাম সালাম ফেরানো আগে জামাতে শরিক হতে পারলে ইমাম আবু হানিফার (রহ.) মতে সেটা জুমা গণ্য হবে। তাই ইমামের সালাম ফেরানোর আগে কেউ মসজিদে উপস্থিত হতে পারলে সে জুমার জামাতে শরিক হয়ে যাবে। ইমাম সালাম ফেরানোর পর দাঁড়িয়ে দুই রাকাত জুমার নামাজ আদায় করে নেবে।কিতাবুল আসারে উল্লিখিত রয়েছে, ইবরাহিম নাখঈ (রহ.) বলেছেন, কেউ যদি জুমার দিন মসজিদে আসার পর ইমামকে শেষ বৈঠকে পায়, তাহলে এক তাকবির বলে নামাজে অংশগ্রহণ করবে এবং আরেক তাকবির বলে বসে তাশাহুদ পড়বে। এরপর ইমাম যখন সালাম ফেরাবে তখন দাঁড়িয়ে যাবে এবং দুই রাকাত নামাজ পড়ে নেবে। (কিতাবুল আসার: ১২৮)

কেউ জামাতে শরিক হওয়ার পর তাশাহুদ পড়ার আগেই যদি ইমাম সালাম ফিরিয়ে নেন, তাহলে সে নিজে তাশাহুদ পূর্ণ করে বাকি নামাযের জন্য দাঁড়াবে।তবে ইমাম মালেক, শাফেঈ ও আহমদ (রহ.) বলেন, জুমার নামাজ পাওয়ার জন্য ইমামের সাথে অন্তত এক রাকাত পেতে হবে অর্থাৎ দ্বিতীয় রাকাতের রুকু শেষ হওয়ার আগেই জামাতে শরিক হতে হবে। ইমাম দ্বিতীয় রাকাতের রুকু থেকে ওঠার পর কেউ জামাতে যোগ দিলে ওই নামাজ তার জন্য জুমা নয়, বরং জোহর গণ্য হবে। তাই নামাজটিকে জুমা হিসেবে দুই রাকাত নয়, জোহর হিসেবে চার রাকাত পড়তে হবে। ইমাম সালাম ফেরানোর পর সে দাঁড়িয়ে যাবে এবং জোহরের নামাজ হিসেবে চার রাকাত পূর্ণ করবে।তাদের মতামত অনুযায়ী কেউ যদি মসজিদে গিয়ে দেখে ইমাম দ্বিতীয় রাকাতের রুকুও আদায় করে ফেলেছেন, তাহলে অন্য কোনো মসজিদে গিয়ে জুমা পাওয়ার সম্ভাবনা থাকলে তার ওই মসজিদে গিয়ে জুমা আদায়ের চেষ্টা করা উচিত; যেহেতু এই মসজিদে সে এখন আর জুমা আদায়র করতে পারছে না। অন্য কোনো মসজিদে গিয়ে জুমা আদায় করতে পারার সম্ভাবনা না থাকলে ইমামের সাথে শরিক হয়ে যাবে এবং সালাম ফেরানোর পর দাঁড়িয়ে চার রাকাত নামাজ আদায় করবে।