কোরআনের চর্চা অব্যাহত রাখা আবশ্যকশাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলতসৌদিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতরবৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল ফিতরপবিত্র কাবা শরীফ থেকে তিন কিলোমিটার দূর গেলো তারাবির নামাজের কাতার
No icon

নারীরা কি জুমার জামাতে শরিক হবেন?

নারীদের জুমার জামাতে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। রাসুলের (সা.) যুগে নারীরা রাসুলের (সা.) পেছনে জুমার নামাজ আদায় করতেন। তবে ইসলামে জুমার নামাজ ওয়াজিব হওয়ার জন্য পুরুষ হওয়া শর্ত। জুমার নামাজ নারীদের জন্য ওয়াজিব নয়। রাসুল সা. বলেছেন,

الْجُمُعَةُ حَقٌّ وَاجِبٌ عَلَى كُلِّ مُسْلِمٍ فِي جَمَاعَةٍ إِلاَّ أَرْبَعَةً عَبْدٌ مَمْلُوكٌ أَوِ امْرَأَةٌ أَوْ صَبِيٌّ أَوْ مَرِيضٌ জুমার নামাজ প্রত্যেক মুসলিমের উপর জামাআতের সাথে আদায় করা ওয়াজিব। কিন্তু তা চার প্রকার লোকের উপর ওয়াজিব নয়; ক্রীতদাস, মহিলা, শিশু ও অসুস্থ ব্যক্তি। (সুনান আবু দাউদ: ১০৬৭)

ইমাম দারাকুতনি ও বায়হাকির বর্ণনায় এসেছে,

من كان يؤمن بالله واليوم الآخر فعليه الجمعة إلا مريضاً أو مسافراً أو امرأة ‏أو صبياً أو مملوكاً আল্লাহ ও পরকালের ওপর যাদের ইমান আছে, তাদের ওপর জুমা ওয়াজিব। তবে অসুস্থ, মুসাফির, নারী, শিশু ও ক্রিতদাসদের ওপর জুমা ওয়াজিব নয়।

মসজিদে আসা-যাওয়ার পথে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা না থাকলে, বাড়ির কাছের মসজিদে নারীদের জুমার ব্যবস্থা না থাকলে নারীদের জন্য জুমায় অংশগ্রহণ করা জরুরি নয়। তবে মসজিদে যাওয়ার সুযোগ থাকলে, আসা-যাওয়ার পথে পর্দা বা নিরাপত্তাহানির সম্ভাবনা না থাকলে নারীদের জন্য জুমার নামাজে অংশগ্রহণ করাই উত্তম। যেহেতু জুমাপূর্ব বয়ান ও খুতবায় মসজিদগুলোতে দ্বীনি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়, জুমার জামাতে শরিক হলে নারীরা সপ্তাহে অন্তত একদিন দ্বীনি আলোচনা শোনার, দ্বীন সম্পর্কে জানার কিছুটা সুযোগ পাবেন।

আমাদের দেশের বেশিরভাগ মসজিদে নারীদের নামাজের ব্যবস্থা বা সুযোগ নেই। এটি সঠিক প্রচলন নয়। জুমা ওয়াজিব না হলেও নবিজির (সা.) মসজিদে নারীদের জুমাসহ অন্যান্য নামাজ আদায়ের সুযোগ ছিলো। মসজিদে নারীদের নামাজের সুযোগ থাকা নবিজির (সা.) আদর্শ বা সুন্নাত, নারীদের নামাজের সুযোগ না থাকা নবিজির (সা.) সুন্নাতের খেলাফ প্রচলন। এ ব্যাপারে মসজিদগুলোর কমিটি বা কর্তৃপক্ষের সচেতন ও উদ্যোগী হওয়া কর্তব্য।