যেসব জায়গায় জুমার নামাজ শুদ্ধ হয় নাঅজুর সময় কথা বলা কি নাজায়েজ?কোরআনের চর্চা অব্যাহত রাখা আবশ্যকশাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলতসৌদিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর
No icon

নামাজে হাঁচি দিলে ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলা যাবে?

নামাজের বাইরে সাধারণ অবস্থায় হাঁচি দেওয়ার পর আলহামদুলিল্লাহ বলা মুস্তাহাব। হাদিসে হাঁচি দেওয়ার পর আলহামদুলিল্লাহ পড়া এবং তার জবাব দেওয়ার নির্দেশনা এসেছে। আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন,

إِذَا عَطسَ أحَدُكُمْ فَلْيَقُلْ: الحَمْدُ للهِ، وَلْيَقُلْ لَهُ أخُوهُ أَوْ صَاحِبُهُ: يَرْحَمُكَ الله، فإذَا قَالَ لَهُ: يَرْحَمُكَ اللهُ، فَلْيَقُلْ: يَهْدِيكُمُ اللهُ وَيُصْلِحُ بالَكم তোমাদের কেউ যখন হাঁচি দেয় তখন সে যেন আলহামদুলিল্লাহ (অর্থ: সব প্রশংসা আল্লাহর) বলে। এবং তার সাথে থাকা ব্যক্তি যেন উত্তরে ইয়ারহামুকাল্লাহ (অর্থ: আল্লাহ আপনার ওপর দয়া করুন) বলে। যখন তার সাথে থাকা ব্যক্তি ইয়ারহামুকাল্লাহ বলবে তখন হাঁচিদাতা উত্তরে বলবে য়াহদিকুমুল্লাহু ওয়া ইউসলিহু বালাকুম । (সহিহ বুখারি: ৬২২৪)

নবিজির (সা.) এই নির্দেশ নামাজের বাইরে সাধারণ অবস্থার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। নামাজ আদায়ের সময় হাঁচি দিলে আলহামদুলিল্লাহ বলার নিয়ম নেই। নামাজ পড়ার সময় নিজে হাঁচি দিয়ে আলহামদুলিল্লাহ বললে নামাজ ভেঙে যাবে না। তবে ইচ্ছাকৃত এমনটি করা ঠিক নয়।

নামাজ আদায়ের অন্যের হাঁচির জবাবে ইয়ারহামুকাল্লাহ বললে নামাজ ভেঙে যাবে। নামাজ অবস্থায় কারো সাথে কথা বলা বা কাউকে সালাম দেওয়াও নিষিদ্ধ। রাসুল (সা.) বলেছেন,

إِنّ هَذِهِ الصّلَاةَ لَا يَصْلُحُ فِيهَا شَيْءٌ مِنْ كَلَامِ النّاسِ، إِنَّمَا هُوَ التّسْبِيحُ وَالتّكْبِيرُ وَقِرَاءَةُ الْقُرْآنِ. নামাজে কারো সাথে কথা বলার সুযোগ নেই। নামাজ শুধু তাসবিহ, তাকবি ও কুরআন তিলাওয়াত। (সহিহ মুসলিম: ৫৩৭)

তাই নামাজ অবস্থায় ইচ্ছাকৃতভাবে বা ভুল করে কাউকে সম্বোধন করে কিছু বললে বা সালাম দিলে নামাজ ভেঙে যাবে। শুধু নিজে শুনতে পায় এতটুকু নিচু আওয়াজে কথা বলে ফেললেও নামাজ ভেঙে যাবে।কেউ যদি নামাজ আদায়রত ব্যক্তিকে সালাম দেয়, নামাজি ইচ্ছাকৃতভাবে বা ভুল করে সশব্দে অর্থাৎ মুখে উচ্চারণ করে সালামের উত্তর দেয়, তাহলে নামাজ ভেঙে যাবে।