
প্রশ্ন: ফজরের সময় ঘুম না ভাঙার কারণে ফজরের নামাজ কাজা হলে এই কাজা নামাজ কখন পড়ব?
উত্তর: ঘুমিয়ে থাকার কারণে ফজরের নামাজ যদি সময়মতো না পড়তে পারেন, তাহলে ঘুম ভাঙার পর সূর্য পুরোপুরি উদিত হয়ে যাওয়ার পর থেকে জোহরের আগ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে যত দ্রুত সম্ভব ফজরের কাজা নামাজ আদায় করে নেবেন।সূর্যোদয়ের সময় ফজরের নামাজের কাজা পড়বেন না। ফজরের সময় শেষ হয়ে সূর্যোদয় শুরু হয়ে যাওয়ার পর অন্যান্য নামাজের মতো ওই দিনের ফজরের নামাজ আদায় করাও নিষিদ্ধ হয়ে যায় এবং সূর্য পুরোপুরি উদিত যাওয়া পর্যন্ত নিষিদ্ধ থাকে। ওলামায়ে কেরামের মতে এ সময়ের ব্যাপ্তি ১০ মিনিট। আবহাওয়া অফিস থেকে সূর্যোদয়ের যে সময় জানানো হয়, তার ১০ মিনিট পর পর্যন্ত কাজা নামাজ আদায় করা থেকে বিরত থাকবেন।
এ সময় ফজরের ফরজ নামাজসহ যে কোনো নামাজ পড়লে তা আদায় হবে না। এ সময় ওই দিনের ফজরের নামাজ পড়লে পরবর্তীতে আবার তা পড়তে হবে। যদি সূর্যোদয়ের আগে ফজরের নামাজ শুরু করার পর নামাজরত অবস্থায় সূর্য উদিত হয়ে যায় তবে সেটিও পরবর্তীতে কাজা করে নিতে হবে।সূর্যোদয়, সূযাস্ত ও ঠিক মধ্যাহ্নের সময় নামাজ আদায় করা নিষিদ্ধ। এ তিন সময়ে কাজা ও নফলসহ সব নামাজ আদায় করা থেকে বিরত থাকতে হবে। এ সময়গুলোতে তিলাওয়াতের সিজদা ও জানাজার নামাজ আদায় করা থেকেও বিরত থাকতে হবে।
যায়েদ ইবনে খালেদ জুহানী (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়সাাল্লাম) তিন সময়ে নামাজ আদায় এবং মৃত ব্যক্তিকে কবরস্থ করতে আমাদের নিষেধ করতেন, সূর্য যখন আলোকজ্জ্বল হয়ে উদয় হতে থাকে তখন থেকে পরিষ্কারভাবে উপরে না ওঠা পর্যন্ত, সূর্য ঠিক মধ্যাকাশে থাকে তখন থেকে ঢলে না পড়া পর্যন্ত এবং সূর্য অস্ত যাওয়া শুরু হলে, সম্পূর্ণরূপে অস্তমিত হওয়া পর্যন্ত। (সহিহ মুসলিম: ৮৩১)