কোরআনের চর্চা অব্যাহত রাখা আবশ্যকশাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলতসৌদিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতরবৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল ফিতরপবিত্র কাবা শরীফ থেকে তিন কিলোমিটার দূর গেলো তারাবির নামাজের কাতার
No icon

ফজরের সুন্নাতে যে দুটি সুরা পড়তেন নবিজি (সা.)

ফজরের দুরাকাত সুন্নাত নামাজ প্রতিদিনের সুন্নাতে মুআক্কাদা নামাজসমূহের অন্তর্ভুক্ত যা রাসুল (সা.) নিয়মিত পড়তেন। হজরত আয়েশা (রা.) বলেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জোহরের আগে ৪ রাকাত এবং ফজরের আগে ২ রাকাত সুন্নাত নামাজ কখনো ছেড়ে দিতেন না। (সহিহ বুখারি) নবিজি (সা.) বলেছেন,

ركعتَا الفجرِ خيرٌ من الدُّنيا وما فيها ফজরের দুই রাকাত সুন্নাত নামাজ দুনিয়া এবং এর মধ্যকার সব কিছুর চেয়ে উত্তম। (সহিহ মুসলিম)

একাধিক সাহাবির বর্ণনা থেকে বোঝা যায়, রাসুল (সা.) প্রায়ই ফজরের সুন্নাত নামাজের প্রথম রাকাতে সুরা কাফিরুন ও দ্বিতীয় রাকাতে সুরা ইখলাস পড়তেন। আবু হোরায়রা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফজরের দুই রাকাত সুন্নাতে সুরা কাফেরুন ও সুরা ইখলাস পড়েছেন। (সহিহ মুসলিম: ৭২৬) আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, আমি এক মাস পর্যন্ত নবিজিকে (সা.) খেয়াল করে দেখেছি, তিনি ফজরের সুন্নাতে সুরা কাফেরুন ও সুরা ইখলাস পড়েন। (সুনানে তিরমিজি: ৪১৭) নবিজির সহধর্মীনি আয়েশা (রা.) থেকেও এরকম বর্ণনা রয়েছে। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা: ৬৩৯৫)

এ হাদিসগুলোর কারণে আলেমরা ফজরের সুন্নাতে এ দুটি সুরা পড়া উত্তম বলেছেন। তবে রাসুল (সা.) সব সময়ই ফজরের সুন্নাতে এ দুটি সুরা পড়েছেন এমন নয়। আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত রয়েছে, রাসুল (সা.) মাঝে মাঝেই ফজরের দুরাকাত সুন্নাতে প্রথম রাকাতে সুরা বাকারার ১৩৬ নং আয়াত ও দ্বিদীয় রাকাতে ৬৪ নং আয়াত পড়তেন। (সহিহ মুসলিম: ১১১৫) এ দুটি আয়াতও ফজরের সুন্নাতে পড়া উত্তম।