যেসব জায়গায় জুমার নামাজ শুদ্ধ হয় নাঅজুর সময় কথা বলা কি নাজায়েজ?কোরআনের চর্চা অব্যাহত রাখা আবশ্যকশাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলতসৌদিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর
No icon

জুমার দিন সুগন্ধি ব্যবহার করা সুন্নত

সুগন্ধি ব্যবহার করা সব সময়ই সুন্নত ও উত্তম কাজ। রাসুল (সা.) সব সময় সুগন্ধি ব্যবহার করতেন। আবু আইয়ুব আনসারি (রা.) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, চারটি কাজ সব নবির সুন্নত; সুগন্ধি ব্যবহার করা, বিয়ে করা, মেসওয়াক করা ও লজ্জাস্থান আবৃত রাখা। (মুসনাদে আহমা: ২২৪৭৮)

সুগন্ধি ব্যবহার করা ছিল নবিজির অত্যন্ত প্রিয় কাজ। আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত একটি হাদিসে নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, দুনিয়ায় তার কাছে সবচেয়ে প্রিয় তিনটি জিনিসের একটি হলো সুগন্ধি। (সুনানে নাসাঈ: ৩৯৩৯)

জুমার দিনের বিশেষ আমলগুলোর মধ্যে একটি আমল হলো সুগন্ধি ব্যবহার করা। জুমার দিনের আমলের বর্ণনা সম্বলিত একাধিক হাদিসে সুগন্ধি ব্যবহারের নির্দেশনা নিয়েছেন আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)। আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত রাসুল (সা.) বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহ এ দিনটিকে মুসলমানদের জন্য ঈদের দিনরূপে নির্ধারণ করেছেন। তাই যে ব্যক্তি জুমার নামাজ আদায় করতে আসবে সে যেন গোসল করে এবং সুগন্ধি থাকলে তা শরীরে লাগায়। মিসওয়াক করাও তোমাদের কর্তব্য। (সুনানে ইবনে মাজা: ৮৩)

গোসল করে, সুগন্ধি ব্যবহার করে উত্তমরূপে জুমার নামাজ আদায়ের ফজিলত বর্ণনা করে আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যাক্তি জুমার দিন গোসল করে এবং যথাসম্ভব উত্তমরূপে পবিত্রতা অর্জন করে, তেল মেখে নেয় অথবা সুগন্ধি ব্যবহার করে, তারপর মসজিদে যায়, মানুষকে ডিঙ্গিয়ে সামনে যাওয়া থেকে বিরত থাকে, তার ভাগ্যে নির্ধারিত পরিমাণ নামাজ আদায় করে, ইমাম যখন খুতবার জন্য বের হন তখন চুপ থাকে, তার এ জুমা এবং পরবর্তী জুমার মধ্যবর্তী সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়। (সহিহ বুখারি: ৯১০)