যেসব জায়গায় জুমার নামাজ শুদ্ধ হয় নাঅজুর সময় কথা বলা কি নাজায়েজ?কোরআনের চর্চা অব্যাহত রাখা আবশ্যকশাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলতসৌদিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর
No icon

জুমআর বিশেষ সাওয়াব থেকে যে কারণে বঞ্চিত হয় মুসল্লিরা

মহামারি করোনায় স্বাস্থ্য সতর্কতা ও দিননির্দেশনায় দেশব্যাপী মসজিদগুলোতে সীমিত আকারে জুমআ ও তারাবিহ চলছে। সরকারি নির্দেশনা মেনেই নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে নামাজ, জুমআ এবং তারাবিহ আদায় করছে মুসল্লিরা। জুমআর দিন রয়েছে গোনাহ মাফের বিশেষ ঘোষণা। কিছু কাজে বিশেষ সাওয়াব থেকে বঞ্চিত হয় মুসল্লিরা।জুমআর নামাজ পড়লে বান্দার গোনাহ মাফ হয়। এ প্রসঙ্গে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিশেষ দিকনির্দেশনা ঘোষণা করেছেন-


> হজরত আবু হুরায়রারা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি উত্তমরূপে ওজু করে জুমআর নামাজ পড়তে আসে। মনোযোগ সহকারে খুতবা শোনে এবং নিরব থাকে। তখন থেকে পরবর্তী জুমআ পর্যন্ত এবং অতিরিক্ত আরও তিন দিনের গোনাহ ক্ষমা করে দেয়া হয়। যে ব্যক্তি অহেতুক কংকর স্পর্শ করল, সে অনর্থক কাজ করল। (মুসলিম)

হাদিসে কংকর স্পর্শ করা, অযথা কথা বলার মর্মার্থ হলো, খুতবায় মনোযোগ নষ্ট করে এমন কাজ করা। আর অনর্থক কাজ করার মর্মার্থ হলো ওই ব্যক্তি জুমআর নামাজের বিশেষ সাওয়াব থেকে বঞ্চিত হলো এবং সাধারণ জোহরের নামাজ আদায়ের সাওয়াব পেল।জুআর দিনে এমন কিছু কাজ রয়েছে, যাতে গোনাহ মাফের ঘোষণা দিয়েছেন বিশ্বনবি। হাদিসে একটি বর্ণনায় তা সুস্পষ্টভাবে ওঠে এসেছে-হজরত সালমান ফারসি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, 'যে ব্যক্তি জুমআর দিন গোসল করে এবং যথাসম্ভব উত্তমরূপে পবিত্রতা অর্জন করে, এরপর (শরীরে) তেল মেখে নেয় অথবা সুগন্ধি ব্যবহার করে, তারপর মসজিদে যায়, আরদু জনের মধ্যে ফাঁক না করে এবং তার ভাগ্যে নির্ধারিত পরিমাণ নামাজ আদায় করে। আর ইমাম যখন (খুতবার জন্য) বের হন তখন চুপ থাকে। তার এ জুমআ এবং পরবর্তী জুমআর মধ্যবর্তী যাবতীয় গোনাহ ক্ষমা করে দেয়া হয়। (ইবনে মাজাহ)

মহান আল্লাহই সত্য উপাস্য। তিনি একক, তার যেমন কোনো শরিক নেই, তেমনি বান্দার গোনাহ মাফের একচ্ছত্র অধিপতিও তিনি। তাইতো তিনি গোনাহ মাফের বিভিন্ন উপলক্ষ নির্ধারণ করে দিয়েছেন। এর মধ্যে জুমআর দিনের ইবাদত ও করণীয় আমলও একটি।সুতরাং হাদিসের ঘোষণা অনুযায়ী রহমতরে বার্তাবাহী মাস রমজানের জুমআর নামাজের উদ্দেশ্যে গোসল, পবিত্রতা অর্জন, প্রসাধনী ব্যবহার করে মসজিদে গিয়ে খুতবা শোনা, অনর্থক কাজ না করা এবং সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে জুমআ আদায় করা জরুরি। আর তাতে মহান আল্লাহ বান্দাকে ক্ষমা করে দেবেন।আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে রমজানের রহমত বরকত মাগফেরাত ও নাজাত লাভে হাদিসের নির্দেশনা মেনে চলার তাওফিক দান করুন। নিজেদের জীবনের গোনাহ থেকে মুক্ত হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।