যেসব জায়গায় জুমার নামাজ শুদ্ধ হয় নাঅজুর সময় কথা বলা কি নাজায়েজ?কোরআনের চর্চা অব্যাহত রাখা আবশ্যকশাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলতসৌদিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর
No icon

মুমিনের দোষ গোপন রাখার ফজিলত

ছোট্ট একটি আমল- ‘কারো কোনো দোষ দেখলে তা গোপন রাখা। দোষের কথাটি কাউকে না বলা। দোষ গোপন রাখার এ আমলটি মহান আল্লাহর কাছে খুবই প্রিয়। অন্যের দোষ গোপন রাখা ওয়াজিব। যে কারণে দোষ গোপনকারী ব্যক্তি আল্লাহর কাছে পাবেন অনেক বড় প্রতিদান। কী প্রতিদান সেটি। এ সম্পর্কে নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামই বা কী বলেছেন?

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন- لا يَستُرُ عبدٌ عبدًا في الدنيا إلا سَتَره الله يوم القيامة দুনিয়াতে যদি কোনো বান্দা অপর কোনো বান্দার দোষ-ত্রুটি গোপন রাখে তবে কেয়ামতের দিন মহান আল্লাহ তাআলা ওই বান্দার দোষ-ত্রটি গোপন রাখবেন। (মুসলিম)

মানুষের জন্য কত বড় চমৎকার ঘোষণা ও পুরস্কার এটি। যখন কোনো মুসলিম তার অপর মুসলিম ভাইয়ের কোনো অপরাধ-অন্যায় দেখে, তবে তার ওপর ওয়াজিব হলো তা গোপন রাখা। অন্য মানুষের কাছে তা প্রচার না করা। কারণ কারো দোষ-ত্রুটি অন্য কারো কাছে বলে বেড়ানো একটি অশ্লীল কর্ম প্রচার করার অন্তর্ভুক্ত।পক্ষান্তরে- আর যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে এই দোষ-ত্রুটি গোপন রাখার কাজটি করবে আল্লাহ তাআলা অবশ্যই কেয়ামতের দিন তাকে বিনিময় দান করবেন। তার দোষ-ত্রুটিগুলো গোপন করবেন এবং সব মানুষের সামনে তাকে অপমান করবেন না। মুমিন মুসলমানের জন্য এর চেয়ে বড় প্রতিদান আর কী হতে পারে!সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, কারো কোনো দোষ-ত্রুটি দেখলেই তা গোপন রাখা। একজনের কাছ্যে অন্য জনের দোষ-ত্রুটি বলে বেড়ানো থেকে বিরত থাকা। তবেই হাদিসের ঘোষণায় আশা করা যায়, মহান আল্লাহ ওই বান্দার দোষ-ত্রুটি গোপন রাখবেন। মানুষের সামনে অপমান থেকে মুক্তি দেবেন।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সবাইকে পরস্পরের দোষ-ত্রুটি বলে বেড়ানো থেকে হেফাজত করুন। হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। পরকালে নিজেদের দোষ-ত্রুটি প্রকাশ হওয়া এবং অপমনা হওয়া থেকে বাঁচার তাওফিক দান করুন। আমিন।