যেসব জায়গায় জুমার নামাজ শুদ্ধ হয় নাঅজুর সময় কথা বলা কি নাজায়েজ?কোরআনের চর্চা অব্যাহত রাখা আবশ্যকশাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলতসৌদিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর
No icon

মানুষের প্রতি দয়া করার ফজিলত

প্রতিটি সৎ কাজের বিনিময়েই মহান আল্লাহ মানুষের প্রতি অনুগ্রহ নাজিল করেন। মানুষের প্রতি দয়া করাও মহান আল্লাহর এক বড় অনুগ্রহ। নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদিসে পাকে মানুষের প্রতি দয়া করার বিশেষ ফজিলত ও মর্যাদা ঘোষণা করেছেন। কী সেসব ফজিলত?

মানুষের প্রতি দয়া করায় রয়েছে মহান আল্লাহর অনুগ্রহ পাওয়া অপার সম্ভাবনা। হাদিসের একাধিক বর্ণনায় নবিজী এমনই ঘোষণা দিয়েছেন। হাদিসের দিকনির্দেশনাগুলো হলো-

১. হজরত জারির ইবনু আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন আল্লাহ তাআলা ওই ব্যক্তির প্রতি অনুগ্রহ/দয়া করেন না; যে ব্যক্তি মানুষের প্রতি দয়া করে না। (বুখারি মুসলিম মিশকাত)

আল্লাহ তাআলা ওই ব্যক্তির প্রতি দয়া করে না; যে মানুষের প্রতি দয়া করে না। মানুষের জন্য এ দিকনির্দেশনা অনুসরণ ও অনুকরণেই রয়েছে দ্রুত আল্লাহর অনুগ্রহ পাওয়ার অন্যতম উপায়।

মানুষের প্রতি কেন দয়া দেখাবেন?

হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেছেন একদিন এক নারী তার দুটি মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে আমার কাছে আসে। ওই নারী আমার কাছে কিছু চায়। তখন আমার কাছে একটি খেজুর ছাড়া আর কিছুই ছিল না। আমি তাকে তা (ওই খেজুর) দিয়ে দেই। সে তা দুই ভাগ করে তার দুই মেয়েকে দেয় আর নিজে খাওয়া থেকে বিরত থাকে। তারপর সে উঠে চলে যায়। এমন সময় রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বাড়িতে প্রবেশ করেন। আমি তাঁকে ঘটনাটি বলি। তখন তিনি বললেন, যে ব্যক্তি মেয়েদের ব্যাপারে সমস্যার সম্মুখীন হয় এবং তাদের সঙ্গে উত্তম আচরণ করে; ওই মেয়েরা তার জন্য জাহান্নামের অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে।(বুখারি, মুসলিম, মিশকাত)

হাদিসটির মূল আলোচ্য বিষয়ও মানুষের প্রতি সহমর্মিতা বা দয়ার কথা ফুটে ওঠেছে। তাদের বিপদে পাশে দাঁড়ানো। আর এতে মহান আল্লাহ ওই বান্দার ওপর খুশি হয়ে যান। ফলে ওই ব্যক্তির সার্বিক বিষয়ের উপর মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে অনুগ্রহ বা দয়া নাজিল হতে থাকে।