ধৈর্য ও ঈমান আল্লাহর একান্ত অনুগ্রহ। মুমিন বান্দার কাছে এটি মর্যাদাপূর্ণ চাওয়া-পাওয়া। তাই তো মুমিন বান্দা বিপদ কমবেশি হোক কিংবা না-ই হোক সর্বাবস্থায় ধৈর্য কামনা করে এবং সব সময় ঈমানি মৃত্যু কামনা করে। যেভাবে চরম বিপদের মুহূর্তে চরম অত্যাচার-নির্যাতনে নিশ্চিত মৃত্যুবরণ করার আগে এভাবেই দোয়া করেছিলেন বনি ইসরাইলের জাদুকররা। তারা আল্লাহর কাছে বলেছিলেন-
رَبَّنَاۤ اَفۡرِغۡ عَلَیۡنَا صَبۡرًا وَّ تَوَفَّنَا مُسۡلِمِیۡنَ
উচ্চারণ : রাব্বানা আফরিগ আলাইনা সাবরাও ওয়া তাওয়াফ্ফানা মুসলিমিন।
অর্থ : হে আমাদের রব! আমাদের পরিপূর্ণ ধৈর্য দান করুন এবং মুসলিম হিসাবে আমাদের মৃত্যু দান করুন।(সুরা আরাফ : আয়াত ১২৬)
ফেরাউনের অত্যাচার নির্যাতনের হুমকি দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তারা আল্লাহর কাছে ধৈর্যধারণ ও ঈমানি মৃত্যু কামনা করেন। দোয়াটি মহান আল্লাহর কাছে খুবই পছন্দনীয় হয়েছিল বিধায় তিনি মুসলিম উম্মাহর জন্য তা কোরআনুল কারিমে তুলে ধরেছেন।
সুতরাং মুসলিম উম্মাহর উচিত, সব সময় আল্লাহর কাছে বিপদ-মুসিবতে ধৈর্যধারণের দোয়া করার পাশাপাশি মুসলিম হিসেবে ঈমানি মৃত্যুর জন্য আল্লাহর কাছে তাঁরই শেখানো ভাসায় ধরণা দেওয়া। যেভাবে কোরআনুল কারিমে বিষয়টি ওঠে এসেছে-
وَ مَا تَنۡقِمُ مِنَّاۤ اِلَّاۤ اَنۡ اٰمَنَّا بِاٰیٰتِ رَبِّنَا لَمَّا جَآءَتۡنَا ؕ رَبَّنَاۤ اَفۡرِغۡ عَلَیۡنَا صَبۡرًا وَّ تَوَفَّنَا مُسۡلِمِیۡنَ আর তুমি আমাদের থেকে প্রতিশোধ গ্রহণ করছ শুধু এ কারণে যে,আমরা আমাদের রবের আয়াতসমূহের প্রতি ঈমান এনেছি,যখন তা আমাদের কাছে এসেছে। হে আমাদের রব,আমাদের পরিপূর্ণ ধৈর্য দান করুন এবং মুসলিম হিসাবে আমাদের মৃত্যু দান করুন।(সুরা আরাফ : আয়াত ১২৬)
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, সব সময় আল্লাহর কাছে ধৈর্যধারণ করার শক্তি ও সামর্থ্য কামনা করা। ঈমানের দৌলত কামনা করা। ঈমানের সঙ্গে মৃত্যুবরণ করার তাওফিক কামনা করা।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সবাইকে ধৈর্যধারণ করার তাওফিক দান করুন। হায়াত শেষ হলে মহান আল্লাহ সবাইকে ঈমাণ নিয়ে মৃত্যুবরণ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।