যেসব জায়গায় জুমার নামাজ শুদ্ধ হয় নাঅজুর সময় কথা বলা কি নাজায়েজ?কোরআনের চর্চা অব্যাহত রাখা আবশ্যকশাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলতসৌদিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর
No icon

তাওবায় যেসব নেয়ামত পাবে মুমিন

তাওবা আল্লাহ তাআলার নেয়ামত। তিনি বান্দাকে ক্ষমা করার উপলক্ষ খোঁজেন। যেন সে উপলক্ষকে কেন্দ্র করেই বান্দাকে দান করতে পারেন ক্ষমা, রহমত, বরকত, মাগফেরাত ও নাজাত।

তাওবার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা বান্দাকে চরম দুশ্চিন্তা, সংকট ও আর্থিক অভাব-অনটন থেকে মুক্ত করেন। দুনিয়া ও পরকালের কল্যাণ লাভে সে উপলক্ষ হলো বেশি বেশি তাওবা-ইসতেগফার করা। হাদিসে এসেছে-

নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন যে ব্যক্তি নিয়মিত ইসতেগফার (তওবা) করবে, আল্লাহ ওই বান্দাকে তার সব সংকট থেকে উত্তরণের (মুক্তির) পথ বের করে দেবেন, সব দুশ্চিন্তা (পেরেশানি) মিটিয়ে দেবেন এবং অকল্পনীয় উৎস থেকে তার রিজিক-এর ব্যবস্থা করে দেবেন। (আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ)

কোরআনুল কারিমে আল্লাহ তাআলা ইসতেগফারের ফজিলত ঘোষণা করেছেন এভাবে-

তোমরা তোমাদের পালনকর্তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর। তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল। তিনি তোমাদের ওপর অজস্র বৃষ্টিধারা নাজিল করবেন। তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি বাড়িয়ে দেবেন। তোমাদের জন্য (সবুজ শ্যামল) উদ্যান স্থাপন করবেন এবং তোমাদের জন্য নদী-নালা প্রবাহিত করবেন। (সুরা নুহ : আয়াত ১০-১২)

আল্লাহর কাছে তাওবা-ইসতেগফার করলেই তিনি উল্লেখিত নেয়ামতে মানুষের জীবনকে ভরপুর করে দেবেন।

মানুষ সাধারণত গোনাহ বা অন্যায় করলেই আল্লাহর কাছে তাওবা-ইসতেগফার করে। কোরআন এবং হাদিসের আলোকে এ কথা সুস্পষ্ট যে, শুধু গোনাহ থেকে মুক্তির জন্যই তাওবা-ইসতেগফার নয়। এটা এমন এক বড় আমল। যাতে রয়েছে দুনিয়া ও পরকালের সফলতা ও স্বচ্ছলতার মূলমন্ত্র।

যে ব্যক্তি তাওবা করবে-

১. আল্লাহ তাকে ক্ষমা দেবেন।

২. ফল-ফসল উৎপাদনে কল্যাণকর বৃষ্টি দান করবেন।

৩. নিঃস্ব ব্যক্তিকে সম্পদ দান করবেন।

৪. নিঃসন্তান ব্যক্তিকে সন্তান দান করবেন।

৫. পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বন-উদ্যানকে সবুজ শ্যামল করে দেবেন।

৬. নদী-নালায় অধিক পরিমাণ পানি প্রবাহিত করবেন।

৭. জীবনের সব সংকট থেকে মুক্তির পথ বের করে দেবেন।

৮. দুঃশ্চিন্তা ও পেরেশানি দূর করে দেবেন।

৯. সর্বোপরি এমন উৎস থেকে রিজিক দান করবেন, যে উৎস সম্পর্কে রিজিক লাভকারীর কোনো ধারণাই ছিল না।