আল্লাহ যাকে চান, তাকেই দ্বীন, ঈমান ও ইসলামের ওপর অটল অবিচল রাখেন। জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে দান করেন প্রশান্তি। এটি বান্দার প্রতি মহান আল্লাহর একান্ত অনুগ্রহ। মহান আল্লাহর ইশারাতেই মানুষের অন্তর পরিচালিত হয়। হাদিসে এসেছে-
নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, সব বনি আদমের অন্তরসমূহ দয়াময় রহমানের কুদরতের নিয়ন্ত্রণাধীন। তিনি যেভাবে চান তাতে পরিবর্তন আনেন। (মুসলিম, তিরমিজি)
নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ হাদিসে দ্বীন, ঈমান ও ইসলামের ওপর অটল ও অবিচল থাকতে, প্রশান্ত আত্মার অধিকারী হতে মহান আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করার কথা বলেছেন। একমাত্র মহান আল্লাহ তাআলাই মানুষের অন্তরকে পরিবর্তন করে দিতে পারেন। প্রশান্তি দান করতে পারেন।
মানুষের অন্তরে প্রশান্তি পেতে, দ্বীন-ঈমান ও ইসলামের ওপর অটল ও অবিচল থাকতে তারই শেখানো ভাষায় প্রার্থনা করাই শ্রেয়। আল্লাহ তাআলাই কোরআনুল কারিমে মানুষের জন্য এসব প্রার্থনা তুলে ধরেছেন। আবার নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও হাদিসে পাকে একাধিক দোয়া শিখিয়েছেন। তাহলো-
১. رَبَّنَا لَا تُزِغْ قُلُوبَنَا بَعْدَ إِذْ هَدَيْتَنَا وَهَبْ لَنَا مِنْ لَدُنْكَ رَحْمَةً إِنَّكَ أَنْتَ الْوَهَّابُ উচ্চারণ :রাব্বানা লা তুযেগ কুলুবানা বাদা ইজ হাদাইতানা ওয়া হাবলানা মিল্লাদুংকা রাহমাতান ইন্নাকা আংতাল ওয়াহহাব। অর্থ :হে আমাদের রব! আপনি আমাদের যে হেদায়াত দান করেছেন, তারপর আর আমাদের অন্তরে বক্রতা সৃষ্টি করবেন না। আর একান্তভাবে আপনার পক্ষ থেকে আমাদের রহমত দান করুন। নিশ্চয়ই আপনি অসীম দানশীলতার অধিকারী। (সুরা আল ইমরান : আয়াত ৮)
২. হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অধিক পরিমাণে এ দোয়াটি পড়তেন-
يَا مُقَلِّبَ القُلُوبِ ثَبِّتْ قَلْبِي عَلَى دِينِكَ উচ্চারণ :ইয়া মুকাল্লিবাল কুলুবি, ছাব্বিত কালবি আলা দ্বীনিকা। অর্থ :হে অন্তরসমূহের পরিবর্তনকারী! আপনি আমার অন্তরকে আপনার দ্বীনের ওপর অবিচল রাখুন। ৩. اللَّهُمَّ مُصَرِّفَ القُلُوبِ صَرِّفْ قُلُوبَنَا عَلَى طَاعَتِكَ উচ্চারণ :আল্লাহুম্মা মুসাররিফাল কুলুবি সাররিফ কুলুবিনা আলা ত্বাআতিকা। অর্থ :হে আল্লাহ! হে অন্তরসমূহের নিয়ন্ত্রক! আপনি আমাদের অন্তরকে আপনার ইবাদতের ওপর অবিচল রাখুন।(মুসলিম)
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, মহান আল্লাহর কাছে দ্বীন-ঈমান ও ইসলামের ওপর অটল ও অবিচল থাকতে বেশি বেশি এ দোয়াগুলো করা। কোরআন-সুন্নাহর দিকনির্দেশনা মেনে চলা।আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সব সময় দ্বীন-ঈমান ও ইসলামের ওপর অবিচল থাকতে এবং অন্তরে প্রশান্তি পেতে কোরআন-সুন্নায় ঘোষিত দোয়াগুলো বেশি বেশি পড়ার তাওফিক দিন। আমিন।