কোরআনের চর্চা অব্যাহত রাখা আবশ্যকশাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলতসৌদিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতরবৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল ফিতরপবিত্র কাবা শরীফ থেকে তিন কিলোমিটার দূর গেলো তারাবির নামাজের কাতার
No icon

যেসব মানুষের জন্য আল্লাহর সাহায্য অবধারিত

আল্লাহ তাআলা মানুষের সবচেয়ে বড় সাহায্যকারী। তিনি যুগে যুগে মানুষের হেদায়াত এবং সুন্দর জীবন ব্যবস্থার জন্য দুনিয়াতে অনেক নবি ও রাসুল পাঠিয়েছেন। এ সবই মানুষের কল্যাণে। এ কল্যাণ সাধনে তিন শ্রেণির মানুষকে সাহায্য করা আল্লাহর জন্য অবধারিত বলেছেন স্বয়ং নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তারা কারা?

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-

ثلاثة حق على الله عونهم: المجاهد في سبيل الله، والمكاتب الذي يريد الأداء، والناكح الذي يريد العفاف ;তিন ব্যক্তিকে সাহায্য করা আল্লাহর জন্য কর্তব্য হয়ে যায়, আল্লাহর পথের মুজাহিদ ২. আযাদী চুক্তিবদ্ধ গোলাম- যে তার রক্তমূল্য আদায় করতে চায় ৩. পবিত্রতার মানসে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ ব্যক্তি। (তিরমিজি মিশকাত)

উল্লেখিত হাদিসে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনটি কল্যাণমূলক কাজে বান্দাকে সাহায্য করা নিজের কর্তব্য বলে মনে করছেন।

যে ব্যক্তি রক্তমূল্য আদায় করে মুক্তি পেতে চায়, ওই ব্যক্তিকে সাহায্য করা আল্লাহ তাআলার নিজের দায়িত্ব ও কর্তব্য মনে করেন।

দুনিয়ার জীবনে চারিত্রিক পবিত্রতায় পাশবিকতার উচ্ছৃঙ্খলতা থেকে নিজেকে হেফাজত করতে আল্লাহর বিধান অনুযায়ী বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হতে চায়, তাদেরকে সাহায্য করাও আল্লাহর দায়িত্ব হয়ে যায়।

ওই ব্যক্তিদেরকে সাহায্য করাও আল্লাহ তাআলার দায়িত্ব, যারা আল্লাহর বিধানগুলোকে পৃথিবীতে বাস্তবায়ন করার জন্য বাতিলের সঙ্গে প্রাণন্তকর প্রচেষ্টায় নিজেকে নিয়োজিত করেন।

প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদিসে প্রমাণ পাওয়া যায় যে, এ সব লোকদেরকে সাহায্য করা আল্লাহ তাআলা কর্তব্য হয়ে যায়।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে দুনিয়া ও পরকালের কল্যাণে উল্লেখিত কাজগুলো যথাযথভাবে আদায় করে আল্লাহর সাহায্য লাভ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।