যেসব জায়গায় জুমার নামাজ শুদ্ধ হয় নাঅজুর সময় কথা বলা কি নাজায়েজ?কোরআনের চর্চা অব্যাহত রাখা আবশ্যকশাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলতসৌদিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর
No icon

মানুষকে ‘মহান সাহায্যকারী’ বলা যাবে কি?

সাহায্য করার মালিক একমাত্র আল্লাহ। মানুষের কাছে কিংবা মৃতব্যক্তির কাছে সাহায্য চাওয়া বা কাউকে বান্দা নেওয়াজ, গরিবে নেওয়াজ, গাউসুল আজম (মহান সাহায্যকারী) মনে করাও বড় গুনাহের অন্তর্ভুক্ত। তাই মানুষকে গাউসুল আজম বলা যাবে না। এটি মানুষকে ইসলাম থেকে খারিজ করে দেয়। মহান আল্লাহ বলেন-
إِنَّمَا تَعْبُدُوْنَ مِنْ دُوْنِ اللهِ أَوْثَاناً وَتَخْلُقُوْنَ إِفْكاً إِنَّ الَّذِيْنَ تَعْبُدُوْنَ مِنْ دُوْنِ اللهِ لاَ يَمْلِكُوْنَ لَكُمْ رِزْقاً فَابْتَغُوْا عِنْدَ اللهِ الرِّزْقَ وَاعْبُدُوْهُ وَاشْكُرُوْا لَهُ إِلَيْهِ تُرْجَعُوْنَ তোমরা তো আল্লাহর পরিবর্তে কেবল প্রতিমারই পূজা করছো এবং মিথ্যা উদ্ভাবন করছো। তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে যাদের ইবাদত করছো, তারা তোমাদের রিজিকের মালিক নন। কাজেই আল্লাহর কাছে রিজিক তালাশ কর, তাঁর ইবাদত কর এবং তাঁর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর। তাঁরই কাছে তোমার ফিরে যেতে হবে। (সুরা আনকাবুত: আয়াত ১৭)

গাউস শব্দটি আরবি, এর অর্থ হলো- সাহায্যকারী বা ফরিয়াদ শ্রবণকারী। আর আজম শব্দটিও আরবি। এর অর্থ হলো- বড় বা মহান। তাহলে গাউসুল আজমের অর্থ দাঁড়ায় বড় বা মহান সাহায্যকারী । সাধারণভাবেও যদি প্রশ্ন করা হয়, বড় বা মহান সাহায্যকারী কে? নিঃসন্দেহে উত্তর হবে, একমাত্র আল্লাহ তাআলা। তাই কোনো মানুষকে গাউসুল আজম বলা যাবে না।

আল্লাহ তাআলা অন্যত্র আরও বলেন- وَمَنْ أَضَلُّ مِمَّنْ يَدْعُوْ مِنْ دُوْنِ اللهِ مَنْ لاَّ يَسْتَجِيْبُ لَهُ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ وَهُمْ عَنْ دُعَائِهِمْ غَافِلُوْنَ যে ব্যক্তি আল্লাহর পরিবর্তে এমন বস্তুর উপাসনা করে, যে কেয়ামত পর্যন্তও তার ডাকে সাড়া দেবে না, তার চেয়ে অধিক পথভ্রষ্ট আর কে? তারা তো তাদের উপাসনা সম্পর্কেও বেখবর। (সুরা আহকাফ: আয়াত ৫)

তাই কোনো কিছু চাইতে হলে কেবল আল্লাহর কাছে চাইতে হবে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-
إِذَا سَأَلْتَ فَاسْأَلِ اللهَ وَإِذَا اسْتَعَنْتَ فَاسْتَعِنْ بِاللهِ যখন তুমি কোনো কিছু চাইবে; তখন আল্লাহর কাছেই চাইবে। আর যখন সাহায্য প্রার্থনা করবে; তখন আল্লাহর কাছেই করবে। (তিরমিজি ২৫১৬)

মনে রাখতে হবে সাহায্য চাওয়ার দু টি অবস্থা হতে পারে। ১. দোয়া, ২. ইস্তিগাছা। সাধারণভাবে সর্বাবস্থায় আল্লাহর কাছে কিছু চাওয়ার নাম হচ্ছে দোয়া । আর দুঃখ-দুর্দশাগ্রস্ত অবস্থায় আল্লাহর কাছে দোয়া করার নাম হচ্ছে ইস্তিগাছা । মহান আল্লাহই মানুষকে সাহায্য করেন। তিনিই দোয়াকারীর ডাকে সাড়া দেন। তিনিই বিপদগ্রস্ত ব্যক্তিকে বিপদ থেকে উদ্ধার করেন।

আল্লাহ তাআলা মানুষকে শুধু আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়ার তাওফিক দান করুন। হাদিসের ওপর আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।