সুরা ফাতিহা ও সুরা বাকারার শেষ আয়াত দুটি পড়ল যে দোয়াই করা হোক; তা কবুল করা হবে। তাকে কাঙ্ক্ষিত জিনিস দেওয়া হবে। হাদিসে পাকে নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিষয়টি সুস্পষ্ট করেছেন এভাবে-
হজরত আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস রাদিয়াল্লাহ আনহু বর্ণনা করেছেন, একদিন হজরত জিবরিল আলাইহিস সালাম নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে বসেছিলেন। সে সময় তিনি উপর দিক থেকে দরজা খোলার একটা প্রচণ্ড আওয়াজ শুনতে পান। (ওপরের দিকে) মাথা উঠিয়ে বললেন, ‘এটি আসমানের একটি দরজা। আজকেই এটি খোলা হলো- এর আগে আর কখনো (এ দরজা) খোলা হয়নি। আর এ দরজা দিয়ে একজন মালায়িকাহ পৃথিবীতে নেমে এলেন। আজকের এ দিনের আগে আর কখনো তিনি (এ ফেরেশতা) পৃথিবীতে আসেননি। তারপর তিনি (ফেরেশতা) সালাম দিয়ে (নবিজিকে) বললেন-
أَبْشِرْ بِنُورَيْنِ أُوتِيتَهُمَا لَمْ يُؤْتَهُمَا نَبِيٌّ قَبْلَكَ فَاتِحَةُ الْكِتَابِ وَخَوَاتِيمُ سُورَةِ الْبَقَرَةِ لَنْ تَقْرَأَ بِحَرْفٍ مِنْهُمَا إِلاَّ أُعْطِيتَهُ আপনি আপনাকে দেওয়া দুটি নূর বা আলোর সুসংবাদ গ্রহণ করুন। আপনার আগে আর কোনো নবিকে তা দেওয়া হয়নি। আর ঐ দুটি নূর হলো- ফাতিহাতুল কিতাব বা সুরা আল ফাতিহাহ এবং সুরাহ আল বাকারাহ-এর শেষাংশ। এর যে কোন হারফ আপনি পড়বেন তার মধ্যকার প্রার্থিত বিষয় (আপনি চা যান, তা) আপনাকে দেওয়া হবে। (মুসলিম ১৭৬২)
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, এ হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করা। সুরা ফাতিহা ও সুরা বাকারার শেষ দুই আাত পড়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করা। কাঙ্ক্ষিত জিনিস বা আকাঙ্ক্ষা পূরণে আবেদন করা।আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সবাইকে এ আমলের বরকতে কাঙ্ক্ষিত জিনিস দান করবেন। সব চাওয়াকে পূরণ করে দেবেন। আল্লাহ তাআলা কবুল করুন। আমিন।