আল্লাহর কাছে হজ ও উমরার ফযিলত অসীম ঐ ব্যক্তির জন্য যে তার নিয়্যতকে আল্লাহর জন্য খালেস করে নেবে এবং মহান আল কুরআন ও পবিত্র সুন্নাহ্ মোতাবেক হজ ও উমরার সকল কাজ সমাধা করবে। আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন :
«مَنْ أَتَى هَذَا الْبَيْتَ فَلَمْ يَرْفُثْ وَلَمْ يَفْسُقْ رَجَعَ كَمَا وَلَدَتْهُ أُمُّه»
‘‘যে ব্যক্তি এ ঘরে আগমন করল এবং কোন অশালীন আচরণ করেনি ও পাপকাজে লিপ্ত হয়নি (হজ শেষে) সে ঐরূপ হয়ে ফিরে যাবে যে রূপ তার মা তাকে প্রসব করেছিল। অর্থাৎ সে এমন অবস্থায় ফিরে যাবে যে, তার সকল পাপ মাফ করে দেয়া হয়েছে, ঐ শিশুর ন্যায় যে কোন পাপ বা অন্যায় করেনি। আবু হুরায়রা রাদিআল্লাহু আনহু থেকে আরো বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
«الْعُمْرَةُ إِلَى الْعُمْرَةِ كَفَّارَةٌ لِمَا بَيْنَهُمَا وَالْحَجُّ الْمَبْرُورُ لَيْسَ لَهُ جَزَاءٌ إِلاَّ الْجَنَّة»
‘‘এক উমরা থেকে আরেক উমরা পালন এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সময়ে কৃত পাপের কাফফারা হয়ে থাকে। আর পূণ্যময় হজের পুরস্কার জান্নাত ছাড়া আর কিছূই নয়।’’
প্রিয়ভাই
পূণ্যময় হজ হল সে হজ যাতে কোন প্রদর্শনেচ্ছা (রিয়া) ও প্রসিদ্ধি লাভের লোভ নেই এবং যা পাপ ও ফিসক্ মিশ্রিত নয়। আর তা এমন - হজ পালনকারী যার সকল কাজ পরিপূর্ণভাবে সমাধা করেছে, যেমনটি আল্লাহ তাআলা ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নির্দেশ দিয়েছেন।