যেসব জায়গায় জুমার নামাজ শুদ্ধ হয় নাঅজুর সময় কথা বলা কি নাজায়েজ?কোরআনের চর্চা অব্যাহত রাখা আবশ্যকশাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলতসৌদিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর
No icon

পবিত্র কোরআন পোড়ানোর ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন আল-আকসা মসজিদের খতিব শায়খ ইকরামা সাবরি

সম্প্রতি সুইডেন ও ডেনমার্কে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন ফিলিস্তিনের শীর্ষ আলেমরা। গত সোমবার (২৪ জুলাই) এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে সুইডিশ কনসাল জেনারেল জুলিয়াস লিলেস্ট্রমকে বিশেষ চিঠি দিয়েছে জেরুজালেমভিত্তিক সংস্থা ইসলামিক সুপ্রিম কমিটি। তা ছাড়া জেরুজালেমে অবস্থিত সুইডিশ কনস্যুলেট জেনারেলের সামনে অবস্থিত অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন আল-আকসা মসজিদের খতিব শায়খ ইকরামা সাবরিসহ জেরুজালেমের শীর্ষ মুসলিম নেতারা। এ সময় তাঁরা সেখানে উঁচু স্বরে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত করেন। এ সময় শায়খ ইকরামা সাবরি বলেন, মহান আল্লাহর পবিত্র গ্রন্থের সম্মানার্থে আমরা এখানে দাঁড়িয়েছি। এই কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে আমরা এ কথা জানাচ্ছি, পবিত্র কোরআন আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ সম্মানিত গ্রন্থ। মুসলিমরা মহান আল্লাহর নির্দেশনা অনুসরণ করেন এবং নিজ জীবনে পবিত্র কোরআনের বিধি-নিষেধ পালন করেন। সম্মানিত এই গ্রন্থ পুড়িয়ে ফেলাকে আইনিভাবে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বলে আখ্যায়িত করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।

আমরা এ ঘৃণ্য কাজকে মুসলিমদের অনুভূতিতে আঘাত ও তাদের বিরুদ্ধে ধর্মীয় সংঘাত তৈরি বলে মনে করি। তাই আমরা শুধু এই ঘৃণ্য কাজে সম্পৃক্ত সেই ব্যক্তির নিন্দা জানাচ্ছি না; বরং সুইডেন সরকারেরও তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। তা ছাড়া এ ঘৃণ্য কাজের পুনরাবৃত্তি প্রমাণ করে যে আরব ও মুসলিম বিশ্ব তাদের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান গ্রহণে ব্যর্থ হচ্ছে।

জেরুজালেমভিত্তিক সংস্থা ইসলামিক সুপ্রিম কমিটির পক্ষ থেকে সুইডিশ কনসাল জেনারেল জুলিয়াস লিলেস্ট্রমকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বলতে শুধু ধর্মীয় গ্রন্থগুলোর অবমাননা বোঝায় না। এসব ক্ষেত্রে সীমারেখা চিহ্নিত করা উচিত। আমরা সুইডিশ সরকারকে ইসলামবিরোধী বিদ্বেষমূলক আচরণ বন্ধ করতে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

গত ২১ জুলাই দ্বিতীয়বারের মতো সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে কোরআন পুড়িয়ে দেয় সুইডেনে বসবাসরত এক ইরাকি শরণার্থী। এরপর গত ২৪ জুলাই কোপেনহেগেনে ইরাকি দূতাবাসের সামনে কোরআন পোড়ায় ড্যানিশ প্যাট্রিয়টস নামে কট্টর ডানপন্থী দলের দুই সদস্য। স্টকহোমে ও কোপেনহেগেনে পরিকল্পিতভাবে একের পর এক কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় বিশ্বজুড়ে মুসলিমরা তীব্র নিন্দা জানায়।

তথ্যসূত্র : আলজাজিরা