যেসব জায়গায় জুমার নামাজ শুদ্ধ হয় নাঅজুর সময় কথা বলা কি নাজায়েজ?কোরআনের চর্চা অব্যাহত রাখা আবশ্যকশাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলতসৌদিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর
No icon

দীর্ঘ লড়াইয়ে ইসরাইলি সেনাবাহিনী চূড়ান্ত জয় অধরা

গত ৭ অক্টোবর যখন হাজার হাজার হামাস সমর্থিত সশস্ত্র যোদ্ধা গাজার সীমান্ত অতিক্রম করে ইসরাইলি বসতি, সেনাঘাঁটি এবং একটি সংগীত উৎসব দখল করে নেয়, তখন অনেকের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ওই হামলার সময় অনেক ব্যক্তি মৃত্যুর আগে তাদের আত্মীয়দের কাছে লুকিয়ে থেকে মরিয়া বার্তা পাঠান, ‘বাহিনী কোথায়?’ তাদের উদ্ধার হতে কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছিল। অনেকের কাছে উদ্ধারকারী বাহিনী পৌঁছায়নি কিংবা এসে থাকলেও অনেক বিলম্বে। ইসরাইলের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ সামরিক ও গোয়েন্দা বিপর্যয়ের এক বছরেরও বেশি সময় পর দেশটি একটি শক্তিশালী আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে নিজেদের পুনরায় তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছে। তারা প্রতিপক্ষের গোপন ও সুরক্ষিত স্থানে গোপন তথ্যভিত্তিক অভিযানের মাধ্যমে আক্রমণ চালিয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের নির্মূল করেছে, তাদের সম্পদের ওপর আক্রমণ চালিয়েছে এবং প্রতিরোধ করার প্রচেষ্টা অনেকটাই ব্যর্থ করে দিয়েছে। সম্প্রতি ইসরাইল একটি বিমান হামলায় হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরাল্লাহকে হত্যা করেছে। বৈরুতের ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকায় একটি ভূগর্ভস্থ বাংকারে হামলা করা হয়েছিল। অপারেশনের গোপন কোড নাম ছিল ‘নিউ অর্ডার’, যা ইসরাইলের লক্ষ্যকে তুলে ধরেছে—দেশের সীমান্ত পরিস্থিতির পরিবর্তন করা এবং ইরানপন্থি গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করা। এখন ইসরাইল একাধিক ফ্রন্টে যুদ্ধ করছে। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন মিত্রদের সহায়তায় দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মঙ্গলবার ইরান থেকে প্রায় ২০০টি ক্ষেপণাস্ত্রের একটি বড় প্রতিশোধমূলক হামলা ঠেকাতে সফল হয়। এই হামলার ফলে ইসরাইলের প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুতির লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। অবসরপ্রাপ্ত ইসরাইলি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এবং ওয়াশিংটন ইনস্টিটিউট ফর নিয়ার ইস্ট পলিসির সিনিয়র ফেলো অ্যাসাফ অরিয়ন বলেন, ৭ অক্টোবরের আগের সেই শক্তিশালী ও বুদ্ধিমান ইসরাইল ফিরে এসেছে। নাসরাল্লাহর মৃত্যু ইসরাইলের শত্রুদের কাছে একটি বার্তা পাঠিয়েছে, বুঝতে হবে ইসরাইল আপনাদের কাছে পৌঁছাতে পারে। নাসরাল্লাহর হত্যার পর ইসরাইলি সেনাদের মনে নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে ও সামরিক বাহিনী দেশে সুনাম কুড়িয়েছে। তার মৃত্যু নিশ্চিত করার পর ইসরাইলি সেনাদের সৈকতে উল্লাসের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। একটি সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, ইসরাইলের ৮৭ শতাংশ ইহুদি নাগরিক সামরিক বাহিনীর প্রতি উচ্চমাত্রায় আস্থা প্রকাশ করেছেন। তবে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর প্রতি এমন আস্থা মাত্র ৩৭ শতাংশের। নিউ ইয়র্ক টাইমস।